ইসরাফিল নাঈম, চরফ্যাশন (ভোলা)
চরফ্যাশন পৌরসভা
পৌরসভায় নেই ভাগাড় সড়কের দু’পাশে ময়লা
ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভায় কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে শহরের সব ময়লা-আবর্জনা। এই ভাগাড়ের পাশেই অবিস্থত আধুনিক মানের চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ড। এতে বাসস্ট্যান্ডে প্রবেশের আগেই রাস্তার দুপাশে দেখা মেলে ময়লার স্তূপ। সাবেক পৌর মেয়রের কাছে ভাগাড়টি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দুর্গন্ধে যানবাহনের চালক, যাত্রীসহ পথচারীরা রয়েছেন চরম দুর্ভোগে।
জানা গেছে, চরফ্যাশন পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন না নেই। ফলে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যস্ততম সড়কের পাশেই। অনেকদিন ধরে ময়লা ফেলার ফলে সড়কের দুপাশে এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার নিজস্ব পরিবহনে ময়লা-আবর্জনা এনে সড়কের দুপাশে ফেলা হচ্ছে। ভাগাড়ের পাশ দিয়ে যেতেই বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীরা নাকমুখ চেপে রাখেন। দীর্ঘদিন ধরেই গন্ধের এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী, বাসের চালক-যাত্রীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকে-মুখে হাত চেপে, নিশ্বাস বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে। দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসতবাড়িতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দুর্গন্ধের কারণে বাস্টস্ট্যান্ড এলাকায় থাকাই দায়। নাক মুখ চেপে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধ হওয়ায় অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করছেন। সাবেক পৌর মেয়রের কাছে ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল স্থানীয় লোকজন। তিনি তখন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
বাসযাত্রী আমেনা বেগম বলেন, ‘ময়লার ভাগাড়ের কাছাকাছি এলেই দুর্গন্ধ বাসের মধ্যে ঢুকে। অনেক সময় আমাদের সঙ্গে বাচ্চারা থাকে, তারা এই দুর্গন্ধ সহ্য না করতে পেরে বমি করে ফেলে। এই ময়লা ফেলানোর একটি নির্দিষ্ট জায়গা করলে এরকম ব্যবস্ততম সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় দেখতে হত না।’
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক বলেন, যেকোনো খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলার কারণে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাব পড়ে, পরিবেশও দূষিত হয়। এর ফলে ওই এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। এসব কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভা প্রশাসক রাসনা শারমিন মিথি জানান, বর্জ্য ডাম্পিং করার বিষয়টি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"