সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
অবৈধভাবে ফসলিজমির মাটি কাটায় কমছে জমির উর্বরশক্তি
অবৈধভাবে প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে প্রভাবশালী মহল। চলছে ফসলী জমির মাটি কাটা। ফসলী
কৃষি জমি পরিনত হচ্ছে পুকুর-ডোবায়। দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকার হচ্ছে কৃষক, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। মাটি পরিবহনে ভারী ট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রলি ব্যবহারে ইউনিয়ন ও গ্রামীণ
সড়ক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। আইন অমান্য করে এমনি কর্মকাণ্ড
চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ধরন্তির আকাশী বিল এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ধরন্তি আকাশি বিলের পূর্ব উত্তর পাশে সাতটি ভেকু দিয়ে মাটি কেটে সেই মাটি ১০-১২ মাহিন্দ্র ট্রাক্টর করে পাঠানো হচ্ছে আশা ইটভাটায়। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় মাটি পাঠানো
হচ্ছে।
উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জমির ওপরিভাগের চার থেকে ছয় ইঞ্চি (টপ সয়েল) গভীরে মাটিতে মূল পুষ্টিগুণ থাকে। মূলত মাটির এই স্তরে ফসল উৎপাদিত হয়। মাটির এই স্তর কেটে নিলে জমির উর্বরশক্তি নষ্ট হয়। এজন্য অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেও কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যায় না। এ ছাড়া কৃষিজমি ওপরের এ টপ সয়েল হারিয়ে ফেললে তা স্বাভাবিক হতে প্রায় ১০-১২ বছর লাগে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, যেসব জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া
হয়েছে তার পাশের জমিগুলোতেও কয়েক বছর ফসল উৎপাদন
করা সম্ভব হবে না। কৃষকরা
এই ইটভাটা মালিকদের কাছে
জিম্মি হয়ে পড়েছেন। দ্রুত
মাটি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান
তারা।
এ বিষয়ে ওই এলাকার মাটি ব্যবসায়ী রমজান, মুক্তার এবং ইটভাটার মালিক রাসেল মিয়া মালিক এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"