শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

শিবালয়

বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা সালিসের নামে অর্থ আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আবুল কালাম আজাদ সেন্টুর বিরুদ্ধে এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের সরকারি চাকরির দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। সেন্টু নিজেকে সাংবাদিক কিংবা সময়ে প্রশাসনের লোক দাবি করেন। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তোভাগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ সেন্টুর বাড়ি শিবালয় উপজেলার উত্তর মহাদেবপুর গ্রামে। আবুল কালাম দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার বিভিন্ন জনকে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্নসাত করেছেন। দীর্ঘ ৭-৮ বছরেও চাকরি দিতে না পারলে টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছেন সেন্টু। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কয়েক নেতার নাম ভাংগিয়ে ধর্ষন মামলা মিমাংসার কথা বলে আসামিদের কাছে থেকে ৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী রঞ্জন বাসফোর জানান, তার কাছ থেকে গত ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রয়ারি সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে চার লাখ টাকা নিয়েছেন সেন্টু। দীর্ঘ দিনে পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে না পারলে উক্ত টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানা ধরনের ভয়ভিতি দেখানো হচ্ছে। পরে নিরুপায় হয়ে গতকাল সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে ধর্ষণ হওয়া এক মেয়ের বাবা জানান, প্রায় এক বছর আগে তার মেয়েকে একালাকার কিছু বখাটে যুবক ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দয়ের করেন। সেন্টুসহ এলাকার কিছু ব্যক্তিবর্গ মামলাটি মিমাংসা করার জন্য চাপ দেন মেয়ের বাবাকে। তিনি তাদের কথা মত লোকজন নিয়ে মামলাটি আপোষ মিমাংসা করতে রাজি হন। মিমাংসায় মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে স্বাক্ষর নেয়। পরে তিনি টাকা চাইতে গেলে তাকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছেন সেন্টু। এ ব্যাপারে তিনি রবিবার (২৪ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরকম অনেকেই কাছে থেকে প্রতারনা করে টাকা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মকর্তা জানান, এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কয়েকজন যুবক নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে মানুষের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

এদিকে কথা হয় অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ সেন্টুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে কেউ টাকা পেলে ফেরত দেওয়া হবে।’ এসময় তার কাছে সাংবাদিকতা পেশার পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে তিনি তা দেখাতে পারেননি।

মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া বলেন, সেন্টুর অনিয়ম দুর্নীতির কথা অনেকে জানিয়েছেন। সে কারও কথা মানে না। সে সাংবাদিক কি না সন্দেহ আছে।

ইউএনও মো. বেলাল হোসেন জানান, সেন্টুর বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close