আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট
‘শাপলার রাজ্য’ দেখতে পর্যটকের আনন্দ
চারদিকে সবুজ চা পাতা। মাঝখানে লাল শাপলার রাজ্য। এ যেন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেওন্দি চা-বাগানের শাপলা বিল। শীতের আগমনের শুরুতেই পর্যটকে মুখরিত হয়ে ওঠছে লাল শাপলার বিলটি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যটকে ঢল নামে সেখানে। শাপলার বিল আর প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সেখানে গিয়ে জড়ো হয় নানা বসয়ী মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে বিলটি। বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা।
জানা গেছে, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রঘুনন্দন গভীর অরণ্যের দেওন্দি চা বাগানের শাপলার বিলটি দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। এই সৌন্দর্য ও বিলটিকে কেন্দ্র করেই ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এখন ‘শাপলার রাজ্য’ নামে পরিচিত। শরৎতের আগমণে শীতের শুরু পর্যন্ত লাল শাপলা তার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য ছড়িয়ে সবাইকে আকর্ষন করছে। কুয়াশার চাদরে মোড়া লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। এতে বেড়েই চলেছে শাপলার বিলে প্রকৃতি প্রেমীদের আনাগোনা। রাতে শাপলা ফুটে। তাই ফুটন্ত ফুল দেখতে সকালে মানুষের ভিড় জমে বিলে। শাপলা হাতে নিয়ে ছবি তুলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন দর্শণার্থীরা। বিকেলেও ঘুরতে আসনে অনেক পরিবার।
লাল শাপলা বিল দেখতে আসা অনিক নামে এক পর্যটক বলেন, লাল শাপলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঘুরতে এসে আমরা আনন্দিত। এখানে পুরো বিল জুড়ে শুধু শাপলা আর শাপলা। তাই নিজে শাপলা বিলের সাথে ছবি তুলেছি অন্যদেরকে তুলে দিয়েছি। একই সঙ্গে বাড়ির অন্য সদস্যদের এই সৌন্দর্য্য দেখাতে ভিডিও করে নিয়েছি।
ইকবাল আহমেদ নামে আরেক পর্যটক বলেন, ঘুরতে যাওয়া আমার নেশা। চুনারুঘাটের এই লাল শাপলা বিল আমাদে মুগ্ধ করেছে। একদিনে চা বাগান অন্যদিকে মধ্যখানে একটি এমন লাল শাপলা বিল সত্যিই মনোমুগ্ধকর একটি দৃশ্য।
আমির হোসেন নামে আরেকজন জানান, এখানে শুধু ছেলেরাই নয়, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব বয়সী মানুষ ঘুরতে আসছে। এদের মধ্যে অনেকেই বিলের শাপলা ছিড়ে সৌন্দর্য্য নষ্ট করছে।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়োশা আক্তার জানান, তিনি ইতোমধ্যে লাল শাপলা বিলটি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে প্রতিদিন জেলার দূরদূরান্ত থেকে শত শত পর্যটক ঘুরতে আসছে। উপজেলায় অনেক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠছে। শাপলা বিলে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। দর্শনার্থীদের পাশে থাকতে সেখানে গ্রাম পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে।
"