বগুড়া প্রতিনিধি

  ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

ছাত্র-জনতা আন্দোলন

বগুড়ায় ১১০ দিন পর রিপনের লাশ উত্তোলন

বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ রিপন ফকিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়ার বানদিঘি ফকিরপাড়া কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মৃত্যুর ৩ মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফের নেতৃত্বে এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম, সদর থানার এসআই জাহিদ হাসানসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রিপন ফকিরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী মাবিয়া বেগম এই মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট শহরের ২ নম্বর রেল ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন ফকির।

বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য ২৮ অক্টোবর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা গত ৩১ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহগুলো কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়াকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যদায় পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close