আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা
জরিপ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়ায় বিডিএস জরিপে নামজারি খতিয়ান করতে ১০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার সুজন ত্রিপুরার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার কাছে লিখিত এ অভিযোগ করেন স্থানীয় রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া ফুলতলীর ভুক্তভোগী মো. কাওসার ও তার পরিবার। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সুজন ত্রিপুরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর পরুয়াপাড়া গ্রামের ফুলতলী মৌজার ৪২৯ নং খতিয়ানে জায়গার মালিক মো. ইসহাক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, বিএস খতিয়ান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)র মিস মামলার আদেশপত্র থাকার পরেও চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় চলমান বিডিএস জরিপে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। পরে ওই জমি ফট্টিস এগ্রো লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি খতিয়ান করে দেন অভিযুক্ত সুজন ত্রিপুরা। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন ফট্টিস এগ্রো লিমিটেড থেকে অভিযুক্ত সেটেলমেন্ট অফিসার এসব কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. কাওসার বলেন, আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির ৪৯ দশমিক ২৫ শতক জমির মিস মামলা, নামজারি, খাজনার দাখিলাসহ সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও নতুন বিডিএস জরিপে সেটেলমেন্ট অফিসার সুজন ত্রিপুরা দশ লাখ টাকা দাবী করে। আমরা তার দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় ওই জমি ফট্টিস অ্যাগ্রো লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে জরিপ করে দেন। পরে আমরা জানতে পারলাম ফট্টিস অ্যাগ্রোর মালিক পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় সুজন ত্রিপুরা। আমরা উপায়ন্তর না দেখে প্রতিকার চেয়ে ভূমি উপদেষ্টা, ভূমিজরিপ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি।
তবে অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে অভিযুক্ত সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সুজন ত্রিপুরার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, কাওসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আমার অফিসে আসতে বলেন।
"