ফরিদপুর প্রতিনিধি
লিখিত অভিযোগেও টনক নড়ছে না প্রশাসনের
ফরিদপুরের নগরকান্দায় এম এ শাকুর মহিলা কলেজের প্রভাষক ফরহাদ হোসেনের অপসারণ চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন মনোহরপুর গ্রামবাসী।
গতকাল বুধবার সকালে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগে গ্রামবাসী জানান, গ্রামে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এম এ শাকুর মহিলা কলেজ অন্যতম, কলেজটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ভালো সুনামের সাথে চলে আসছে। এলাকার গরীব দিন মজুর ভ্যান চালক এদের মেয়েরাই বেশী লেখাপড়া করে। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠাতা করেন ড. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম যাকে নগরকান্দা উপজেলার আদর্শ বলা হয়। মনোহরপুর গ্রামের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়নে তার অবদান অনেক। প্রভাষক ফরহাদ হোসেন খান কলেজটি বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে।
অভিযোগে বলা হয়, তারা জেনেছেন এম এ শাকুর মহিলা কলেজের প্রভাষক ফরহাদ হোসেন খান দ্বারা কলেজ ছাত্রীরা যৌন হয়রানিসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর আগেও তার নামে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিনিয়ত ছাত্রীরা, প্রভাষক ও কর্মচারীরা তার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কলেজের পরিবেশ ও গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য ফরহাদ হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া দত্ত ও প্রভাষক অমিতাভ সাহার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী ও মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেছে বলে অপপ্রচার করেন। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির নামেও এই প্রভাষক বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, তারা জেনেছেন ও শুনেছেন এই দুজন প্রভাষকের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। তাদের জানা মতে অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া দত্ত ও প্রভাষক অমিতাভ সাহা ভালো মানুষ। এই মিথ্যা তথ্যের ব্যাপারে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলা হয়েছে। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা পয়সা ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়নি ও ধর্মীয় আলোচনা ছাড়া অন্য কিছু করেনি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকিস্বরুপ। গ্রামবাসীরা ফরহাদ হোসেনের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফরহাদ হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ।
ইউএনও কাফী বিন কবির বলেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। আজ মনোহরপুর গ্রামবাসী আরো একটি অভিযোগ দিয়েছেন। দ্রুতই তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
"