মো. শাহ আলম, খুলনা
খুলনা
রোগীর চাপে ঠাঁই নেই শিশু হাসপাতালে
এই ঠাণ্ডা, এই গরম। আবহাওয়ার এ তারতম্যের কারণে বিপাকে পড়েছে শিশুরা। সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। রোগির চাপ বাড়ায় শয্যা সংকটের কারণে অনেককেই বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি। অনেককেই আবার যেতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতলে। কর্তৃপক্ষ শয্যার ব্যবস্থা করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রোগির স্বজনরা।
রোগির স্বজনরা বলছেন, শীতের আগমনের শুরুতে শিশুরা সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়াসহ নানা রোগে আক্রন্ত হয়। হাসপাতালে সিট না পেলে চিকিৎসা করানো কঠিন হয়ে যায়। হাসপাতালে সিটের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন তারা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি রোগিদের জন্য সিট রয়েছে ২৭৫টি। চলতি মাসে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি রোগির সংখ্যা ৩৫৬ জন। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়ার রোগিই বেশি। গেল অক্টোবর মাসে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৩১৫ জন। শনিবারও রোগি ভর্তি হয়েছে ৪৬ জন। আর বহির্বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসা নিয়েছেন ৭২৪ জন শিশু। চিকিৎসক প্রতি ন্যূনতম ৮০ জন করে রোগি দেখা হচ্ছে বহির্বিভাগে।
আরও জানা যায়, খুলনা সিটির বাইরে আশপাশের অন্তত ১০টি জেলা থেকে রোগি আসছে শিশু হাসপাতালে। বিশেষত শিশু রোগি বেশি আসছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, পিরোজপুর এমনকি ভোলা থেকেও।
ডায়ারিয়া আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু রাকিবকে সুদুর ভোলা থেকে নিয়ে এসেছেন তার বাবা মা। বাবা আব্দুর রহিম জানান, গত ৩ দিন যাবত ছেলেকে নিয়ে এখানে ভর্তি। একদিন অপেক্ষা করে সিট পেয়েছি। এখন আমার ছেলে অনেকটা সুস্থ।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আরিফুল কামাল রাসেল বলেন, ঋতু পরিবর্তনের ফলে বেশিরভাগ শিশুরা বুকের সংক্রমণ (নিউমোনিয়া) কোল্ড ডায়ারিয়াসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসময় শিশুদের ধুলাবালি, মশার কয়েলের ধোঁয়া, বাহিরের খাবার ডান্ঠা গরম
থেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে হবে। অন্য সময়ের তুলনায় শিশুদের একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে।
হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আরএমও ডা. মাজহারুল ইসলাম বলেন, খুলনা শিশু হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তিচ্ছু রোগিদের প্রয়োজনের তুলনায় বেড সংখ্যা কম। তাই চাহিদা থাকলেও আমরা সব রোগিদের ভর্তি নিতে পারছি না। গেলো অক্টোবর মাসে থেকেই রোগির চাপ বেড়েছে।
"