জয়পুরহাট প্রতিনিধি

  ১১ নভেম্বর, ২০২৪

জয়পুরহাট

নির্ধারিত দামে মিলছে না আলুর বীজ

জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আলুর বীজ কেনাকাটা শুরু। তবে এই আলুর বীজ নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি সিন্ডিকেট। এ কারণে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বীজ আলু কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষকদের অভিযোগ, কিছু অতিলোভী ব্যবসায়ীর কারসাজিতে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বীজ আলু।

জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর পাঁচবিবি হিচমী, কোমরগ্রাম, চৌমুহনী, ধারকীসহ, বেশ কয়েকটি এলাকার আলুর বীজ ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলুর সিন্ডিকেট তবে সংকটের অজুহাতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বীজ আলু কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন কৃষকরা। বীজ কিনে শেষ অবধি যদি বাজারমূল্য ভালো না পাওয়া যায়, তবে সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তাই কিছুটা শঙ্কা নিয়েই এবার আলুর চাষ করছেন তারা।

মেসার্স লামিম ট্রেডার্সের আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ব্র্যাকের বীজ বিক্রি করি। তারা নির্ধারিত যে দাম আমাদের দিয়েছে, সেই দামেই বীজ বিক্রি করছি। কতিপয় কিছু অসৎ ব্যবসায়ী যাদের লাইসেন্স নেই, তারা সিন্ডিকেট করে বীজের দাম বেশি নিচ্ছেন। এতে আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আমরা কোনো দাম বেশি নিচ্ছি না।’

জেলার আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের ফারুক হোসেন বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব না মেনে সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ৪০ কেজি প্রতি বস্তা আলু বীজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করছেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছে আলু বীজ বিক্রির পর কোনো (রশিদ) রিসিট দিচ্ছেন না। আবার অনেকে রিসিটে সরকারি দাম লিখে দিলেও দাম নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। সরকারী যে রেট দিয়েছে আলু বীজের জন্য সেই রেটে আমরা ডিলারের কাছে গিয়ে আলু পাচ্ছি না।

জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মেহেদি হাসান জানান, আলুর বীজের বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিপণন থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগে বীজের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছিল। ওইসময় কয়েকজনকে কৃষি বিপণন আইনে জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের সতর্ক করা হয়েছে যেন অতিরিক্ত মূল্যে কেউ বীজ বিক্রি না করে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মুজিবুর রহমান জানান, জেলায় এবার ৩৯ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে আলুর বীজের চাহিদা রয়েছে ৫৮ হাজার মেট্রিক টন। এরইমধ্যে দুই হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। জেলায় মাঠ মনিটরিং অব্যাহিত আছে। যাতে করে কোন ডিলারের কাছে কোন মুহূর্তে যেন বিজ বিক্রয় বেশি দামে না হয় বা কোন কোম্পানির কাছে নিম্নমানের বীজ বিতরণ করতে না পারে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন বীজ প্রত্যাহীন এজেন্সি কৃষি বিবরণী অধিদপ্তর এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সামগ্রিকভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। যে সকল ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাবো বেশি দামে বীজ অবশ্যই আমরা তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো কৃষক কোম্পানির বীজ প্রতারিত হয় সেই কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হবে?। নিম্নমানের আলু বিক্রি করছে এমন খবর আসে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close