রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী
চোরাকারবারি থেকে রেহাই পেতে ভাসিয়ে দিল কাঠের সেতু
কুড়িগ্রামের রৌমারী পূর্ব কাউয়ারচর সীমান্তে চোরাকারবারীদের হাত থেকে রেহাই পেতে জিঞ্জিরাম নদীর ওপর ভাসমান সেতু ভাসিয়ে দিলো স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধর্মপুর ও বংশীপাড়া এলাকার একদল চেরাকারবারী সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যদো চোখ ফাঁকি দিয়ে আড়কির মাধ্যমে সীমান্তে গরু পারাপার করে আসছে। চোরাকারবারীরা ভারত থেকে পাচার করে আনা গরু গুলো ওই ভাসমান কাঠের সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করতেন। স্থানীয়রা সেতুর ওপর দিয়ে গরু পারাপার করতে স্থানীয়রা চোরাকারবারীদের বাধাদিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এতেও তারা স্থানীয়দের কোন বাধা না মানলে স্থানীয় স্থানীয় বাসিন্দারা সেতুটির বাধন কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। স্থানীয়দের দাবি সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এদিকে বিজিবি’দের দাবি চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে টহল জোরদার অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিবাহিত হলেও সীমান্তের পূর্ব কাউয়ারচর, পশ্চিম কাউয়ারচর, তেকানী গ্রাম, ধর্মপুর, নওদাপাড়া, চরবোয়ালমারী, হরিণধরাসহ ১২ গ্রামের ১৩ হাজার মানুষ ও ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমলমতি শিক্ষার্থীরা ছিলো অবহেলিত। তাদের দুর্ভোগের বিষয় জানতে পারে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি’র সহযোগিতায় এলাকাবাসি সীমান্তে জিঞ্জিরাম নদীর ওপর ১২০ ফুট দৈর্ঘের একটি ভাসমান কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেওয়ায় এলাকার মানুষ অনেক আনন্দিত। তবে সীমান্তের চোরাকারবারীরা সেই সেতু দিয়ে অবৈধ্য পথে আনা গরুগুলো পার করায় সেতুটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে যায়। এতে নতুন করে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। ফলে চোরাকারবারিরা যাতে ওই সেতু দিয়ে গরু পার করতে না পারে, তাই এলাকাবাসি সেতুটি ভাসিয়ে দেয়।
স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক ও আলম মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন পর স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় পারাপারের সুবিধার্থে ভাসমান কাঠের সেতু দেওয়া হয়। কিন্ত চোরাকারবারিরা ভারত থেকে পাচার হওয়া গরু এই সেতু দিয়ে পার করত। শতবাধা দিলেও তারা মানতো না বরং আমাদের উল্টো ভয়ভীতি দেখাতো। তাই লোকজনের ক্ষোভে ও চোরাকারবারির হাত থেকে রেহাই পেতে সেতুটির রশির বাধন কেটে ভাসিয়ে দেয়।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন চোরাচালানের বিষয়টি সত্যতা শ্বীকার করে বলেন, সেতু থাকলেও চোরাচালান হবে না থাকলেও হবে। তবে চোরাকারবারীদের জন্য সেতু ভেসে দেয়নি। অনেক সময়ে সেতুতে কুচুরিপানা জমা হলে সেতু খুলে পানাগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেও আমি খোজখবর নিবো, যাতে জনগণের দুর্ভোগের সৃষ্টি না হয়।
বডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মোহিউদ্দিন জানান, চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার অব্যাহত আছে। সীমান্তে চোরাচাল বন্ধে স্থানীয়দের সহযোগীতাও চান এ কর্মকর্তা।
"