ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৮ নভেম্বর, ২০২৪

হাওরের ছয় বাঁধ কেটে মাছ শিকার, মামলা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল ও রুই বিল হাওরের ছয়টি ফসলরক্ষা বাঁধের বেশ কিছু স্থান দুর্বৃত্তরা মাছ শিকারের জন্য কেটে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব এবং সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম (৩১) বাদী হয়ে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে গত মঙ্গলবার রাতে ধর্মপাশা থানায় এই মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল, সোনামড়ল, জয়ধনা, ধানকুনিয়া, কাইলানী, গুরমা ও রুই বিল এই সাতটি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ,পূন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ বাঁধের সীমারেখা (এলাইনমেন্ট) অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এই সাতটি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৯৬টি প্রকল্প কাজের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০ কোটি ১৮লাখ টাকা। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ৭ মার্চ সম্পন্ন হয়। চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রাত আটটা থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর রাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রাতের আঁধারে অজ্ঞাতনামা আসামিরা অবৈধভাবে উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৭৫,৭৬ ও ৭৭ নম্বর প্রকল্পের পাঁচটি স্থানে এবং রুই বিল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ৮৯, ৯০ ও ৯১ নম্বর প্রকল্পের পাঁচটি স্থানের বাঁধ কেটে দেয়। এতে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাঁধগুলো কেটে দেওয়ার ফলে বোরো মৌসুমে জমিতে কৃষকদের সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে দিয়ে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close