আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ০৭ নভেম্বর, ২০২৪

বরগুনার আমতলী

নির্মাণের ১০ মাসেই সড়কে খানাখন্দ

বরগুনার আমতলী উপজেলার তালতলী সড়কের কাজ শেষ হওয়ার ১০ মাসের মধ্যেই খানাখন্দে ভরে গেছে। লক্ষাধীক মানুষকেদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, আমতলী-তালতলীর-ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার উপকূলীয় আঞ্চলিক সড়ক। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বার্ষিক জিওবি মেইনটেনেন্স প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। বরগুনার ঠিকাদার মো. সগির হোসেন ওই সড়ক নির্মাণের কাজ পায়। কাজের দুই প্যাকেজ ২০২২ সালের শেষের দিকে শেষ করে। সর্বশেষ প্যাকেজ তারিকাটা থেকে কচুপাত্রা সড়কের কাজ গত বছর ডিসেম্বর মাসে শুরু করেন ঠিকাদার। ঠিকাদার কার্যাদেশ অনুসারে কাজ না করে নিজের ইচ্ছা মাফিক করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নিম্নমানের কাজ করলেও তৎকালিন আমতলী এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি অভিযোগ ওঠেছে। দায়সারা কাজ করে ঠিকাদার সগির হোসেন সমুদয় টাকা তুলে নেন। সড়ক নির্মাণের ১০ মাসের মাথায় সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। ৫০ মিটার অন্তর অন্তর সড়কে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওই সড়ক দিয়ে আমতলী-তালতলী উপজেলার লক্ষাধীক মানুষ ও শত শত যানবাহন চলাচল করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সড়কে খানাখন্দ থাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আড়পাঙ্গাশিয়া এলাকার মুসা মিয়া বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করেছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান তারা। তারিকাটা এলাকার জসিম মিয়া বলেন সড়কের কাজ শেষ সড়ক ও শেষ ।

এদিকে ঠিকাদার মো. সগির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘ধারন ক্ষমতার চেয়ে ভাড়ি যানবাহন চলাচল করায় সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এতে আমার কী করার আছে? আমাকে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সড়ক সংস্কারের জন্য চিঠি দিয়েছে। আমি কাজ করে দেওয়ার কথা বলেছি’।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়ক সংস্কারের জন্য ঠিকাদার সগির হোসেনকে বেশ কয়েকবার অবহিত

করে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তিনি সড়ক

সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, তার জামানত আটকে রাখা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close