বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চলছে গোমতির বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ষোলনল ইউনিয়নে অবস্থিত বুড়বুড়িয়া গ্রামের গোমতির বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি দিয়ে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার ফলে উপজেলার ষোলনল ও পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ এখনও কষ্টে রাস্তায় যাতায়াত করছে। অত্র উপজেলার বাহেরচর, শ্রীপুর, কিংবাজেহুরা, গোবিন্দপুর, নানুয়ার বাজার, কদমতলী, বেড়াজাল, পূর্বহড়া, মিথিলাপুর, ভরাসার কোশাইয়াম, ভান্তি, বালিখাড়া, খাড়াতাইয়া, শিকারপুর, বুড়িচং সদর সহ গোমতি পাড়ের হাজার হাজার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট রাতে গোমতী নদীর বুড়বুড়িয়া ও বেড়াজালের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বাঁধভাঙ্গায় বন্যার পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় বুড়িচং উপজেলাবাসীকে। বাঁধ ভাঙ্গার ফলে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। গতকাল ৬ নভেম্বর সেই বন্যার ২ মাস ১৫ দিন পূর্ণ হল।
সরেজমিনে গিয়ে বেড়িবাধঁ নির্মাণ কাজের বিভিন্ন দিক পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গরা। সূত্রে জানা গেছে, উক্ত বেড়িবাধঁ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে দিন-রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাজ সমাপ্ত হতে আরো অন্তত এক মাস সময় লাগবে। এ ছাড়া, গত ২৩ সেপ্টেম্বর অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা ইয়াছমিন উক্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার, উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহমদ অক্ষর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা মাইদুল ইসলাম মুরাদ সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি পরবর্তী কোনো দুর্ঘটনা ঠেকাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোমতি নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা মাইদুল ইসলাম মুরাদ বলেন, খুব দ্রুত গতিতে বেড়িবাঁধ পুনঃসংস্কারের কাজ চলছে। উক্ত কাজ সমাপ্ত হতে আরো অন্তত এক মাস সময় লাগবে।
"