পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি

  ০৩ নভেম্বর, ২০২৪

নওগাঁর পত্নীতলা

৩ বছরে বদলির কথা, হয়নি ৫ বছরেও

চাকরি বিধি অনুযায়ী ৩ বছর পর পর বদলির নিয়ম থাকলেও একই কর্মস্থলে দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক সময় ধরে চাকরি করে আসছেন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু শোয়েব খান ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন পাল।

সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সার্ভিস রুল অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ৩ বছর পর পর বদলির কথা বলা হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, একই দপ্তরে ৩ বছরের অধিক চাকরিকাল বিপদে ফেলে দপ্তরের স্বল্পকাল চাকরি করা কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের। দীর্ঘ সময় চাকরি করা এসব কর্মচারী নতুন বদলি হয়ে আসা কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। অথচ বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে আসলে বাড়তো অভিজ্ঞতা ও সরকারি চাকরি সমন্ধে বাস্তব ধারণা। একই পদে তিন বছরের অধিককাল কর্মরত থাকায় তারা সংশি¬ষ্ট বিষয়ে অধিক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেনা, অন্যান্য বিষয়ে অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তা ছাড়া, একই পদে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায় কোনো কোনো কর্মচারী বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মচারীদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং একই পদে কিংবা কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে বাস্তব অবস্থাভেদে অন্যত্র বদলি করার জন্য বিধান রয়েছে।

এর ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায়। এ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দীর্ঘ ৫ বছর ১১ মাস ধরে অবস্থান করছেন। অফিসে টাঙ্গানো চার্ডে দেখা যায় তিনি এখানে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর যোগদান করেছেন। আবার অফিসের ওয়েবসাইটে তার যোগদানের কোনো তথ্যে দেখা যায় না।

অপরদিকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দীর্ঘ ৫ বছর ধরে অবস্থান করছেন। অফিসে টাঙ্গানো তালিকায় ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যায় তিনি এখানে ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর যোগদান করেছেন। এ হিসেবে দেখা যায়, তারা দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক সময় থেকে একই পদে একই কর্মস্থলে অবস্থান করছেন। অথচ এর আগে এসব দপ্তরে কোন কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ ৩-৪ বছরের অধিক সময় অবস্থান করেননি।

এত বছর ধরে একই উপজেলায় চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু শোয়েব খান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার প্রায় ৬ বছর হতে চললো, এখন হয়তো বদলীর অর্ডার আসবে। কারণ জেলার অনেক জায়গায় ইতিমধ্যে বদলী হয়েছেন কেউ কেউ। তবে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা যেটা ভালো মনে করেন, সেটা করবেন। কেউ দশ বছর পর্যন্ত একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন’।

২০১৯ সালে যোগদানের কথা স্বীকার করে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন পাল মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের বদলী বা কর্মরত জায়গায় থাকা এটা পুরোপুরি হেড অফিস দেখেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা যেটা ভালো মনে করেন, সেটা করবেন। আর উনাদের নির্দেশনা আমরা পালন করতে থাকি’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পপি খাতুন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও মহিলাবিষয়ক অফিসের নিজ নিজ দপ্তর থেকে বদলি হয়ে থাকে। এখানে তাদের দপ্তরই বদলির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close