আমিনুল ইসলাম, সখীপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের সখীপুর
কুতুবপুর হাটে কোটি টাকার কলা বিক্রি
টাঙ্গাইলের সখীপুরসহ আশপাশের পাহাড়ি এলাকার কৃষকেরা কলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কলার আবাদ বেশি হওয়ায় কুতুবপুরে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বড় কলার হাট। ব্যবসায়ীরা এ হাটে এসে কলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। কুতুবপুর কলার হাট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান ফকির বলেন, এ হাটে সপ্তাহে ২ কোটি টাকার কলা কেনাবেচা হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাগজে-কলমে সপ্তাহে দুই দিন রবি ও বুধবার হাটবার। কিন্তু এখন শনি, মঙ্গলবারসহ চার দিন বসে এ হাট। এ হাটে উপজেলার কুতুবপুর, বড়চওনা, দাড়িপাকা, শ্রীপুর, তৈলধারা, ইছাদিঘী, মুচারিয়া পাথার, শালগ্রামপুর; ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি, জোড়দীঘি গ্রাম ও মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা কলা নিয়ে এ হাটে আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাওয়া ব্যবসায়ীরা কলা কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। কলা বিক্রির জন্য হাটে রয়েছে সাতটি আড়ত।
গত রবিবার সকালে কুতুবপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, সারা দেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীরা কলা দামদর করে কিনে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এক ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর কলার দাম অনেকটা বেশি। প্রতি কাদি কলা আকারভেদে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
কুতুবপুর গ্রামের কলাচাষি হাশেম ভুঁইয়া বলেন, এ বছর তিনি ১৫ একর জমিতে কলা চাষ করেছেন। কলাগাছ লাগিয়েছেন ১৫ হাজার। ইতোমধ্যে তিনি ৪ হাজার কলার কাদি ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। আরও ৩০ লাখ টাকার কলা তিনি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। জমির ভাড়া পরিশোধ ও খরচ শেষে তার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন।
ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, মধ্যম মানের একটি কলার কাদি বিক্রি হয় অন্তত ৩০০ টাকা দরে। এর চেয়ে ভালো মানের কলা বিক্রি হয় ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
আড়তদার আবুল কালাম মিয়া বলেন, প্রতি হাটবারে এখান থেকে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ হাটে এখন সাতটি আড়ত গড়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, সখীপুরসহ এ অঞ্চলের মাটি কলা চাষে বেশ উপযোগী। আবার কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। এ বছর উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। দেড় হাজার মানুষ কলা চাষের সঙ্গে যুক্ত।
"