প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, নগরকান্দা (ফরিদপুর)
লাউয়ে চমক শিক্ষার্থী আল আমিনের
ফরিদপুর জেলার মধ্যে সালথা উপজেলা কৃষিতে ব্যাপক সম্ভাবনাময়। এখানে পাট ও পেঁয়াজের ফলন বেশ ভালো হয়। মৌসুমের শুরুতে প্রায় ৯০ ভাগ জমিতে কৃষকরা পাট ও পেঁয়াজের চাষ করে থাকেন। এসব কিছু ছাড়িয়ে লাউ ও সবজি চাষে চমক সৃষ্টি করেছেন শিক্ষার্থী মো. আল-আমিন শেখ (২৩)। গত কয়েক বছর ধরে লাউ, ধুন্দল, চন্দনি, পুঁইশাক ও অন্যান্য সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সবজি চাষ করলেও এবার লাউ চাষে এই চমক সৃষ্টি করেন তিনি। আল-আমিন উপজেলার যদুনন্দী ইউপির জগন্নাথদী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার লিটু শেখের ছেলে। নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল-আমিন জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করছেন। বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই তাকে এ কাজে সাহায্য করেন। চাষাবাদের কারণে লেখাপড়ায় কোনো সমস্যা হয় না। চলতি মৌসুমে প্রায় এক একর জমিতে লাউ চাষ করেন আল আমিন। সেখানে দুটি মাচা করেছেন। কাদা-বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে বেড পদ্ধতিতে কয়েক প্রজাতির হাইব্রিড জাতের লাউ গাছ রোপণ করা হয়েছে। মোট ১৩টি বেড রয়েছে, একটি চারা থেকে অন্যটির দূরত্ব প্রায় আড়াই ফুট। শতক প্রতি মাত্র ৫শ-৭শ টাকা খরচ হয়েছে। ৪০-৪৫ দিন পর থেকে প্রায় প্রতিদিন লাউ সংগ্রহ করা যায়। লাউগাছ ৪ মাস পর্যন্ত ভালো ফলন দেয়। এরপরই ফলন কমতে থাকে। এজন্য ৪ মাস পর নতুন করে লাউ গাছ রোপণ বা অন্য কোনো ফসলের চাষ করত হয়। লাউ সারা বছর চাষ করা যায়। সব খরচ বাদ দিয়ে আল আমিন এ বছর প্রায় ৩-৪ লাখ টাকার লাউ চাষে লাভ করবেন বলে ধারণা করছেন।
"