বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
জরায়ুমুখ ক্যানসার
বোরহানউদ্দিনে টিকার পর অসুস্থ অর্ধশত ছাত্রী
ভোলার বোরহানউদ্দিনে একটি বিদ্যালয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা দেওয়ার পর প্রায় অর্ধশত ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জ্ঞানদা বালিকা উপজেলার জ্ঞানদা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান আহত ছাত্রীদের দেখতে বারহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। ঘটনার পর আপাতত ওই স্কুলে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রায় ১৬২ ছাত্রীকে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়া হয়। টিকা প্রয়োগ করার কয়েক মিনিটের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর শিক্ষক ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর একের পর এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০-৬৫ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পঞ্চম, ষষ্ট, সপ্তম ও নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের মধ্যে কারো হাত-পা জ্বালাপোড়া করে, কেউ বমি করে, কারো মাথা ব্যথা করছে, কেউ মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘শিশুরা মূলত “মাস সাইকোলজিক্যাল ইলনেসে” আক্রান্ত হয়েছে। এটি গুরুতর কোনো রোগ না। এখানে এমন শিক্ষার্থীও অসুস্থ হয়ে পড়েছে, যাদের শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হয়নি। আমরা বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক রেখেছি। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী বাড়িতে ফিরে গেছে।’
স্বাস্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলায় ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮০ জন কিশোরীকে প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে জেলার ৭ উপজেলায় ৫২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৮ কর্ম দিবসের টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে নারীদের স্তন ক্যান্সারের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জরায়ুমুখ ক্যান্সার।
"