মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার নবগঙ্গা নদী
সেতুর একাংশে ধস ঢাকা-খুলনা সড়কে ঝুঁকিতে যান চলাচল
মাগুরা ঢাকা রোড এলাকার নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত একটি পুরোনো সেতুর একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
আপাতত উইং ওয়ালের ওই অংশ জিও ব্যাগ দিয়ে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, ১৯৫৬ সালে নবগঙ্গা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। এর পাশেই একটি ¯¬ুইসগেট আছে। সেটি সরকারের কেপিআই প্রতিষ্ঠান।
সরজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে পুরোনো ওই সেতুর উইং ওয়ালের একটি অংশ ধসে পড়েছে। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওই অংশে যান চলাচল এক লাইনে সীমিত করা হয়েছে। তবে উইং ওয়ালের ওই অংশ জিও ব্যাগ দিয়ে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী গৌতম শিকদার বলেন, বৃষ্টির পানি দীর্ঘদিন সেতুর কোনা দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে পড়ার ফলে মাটিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়ে সেখানে ধস নেমেছে। এতে করে যান চলাচলসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত সমাধান না করলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
মোটরসাইকেল আরোহী প্রসেনজিৎ সিংহ বলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঢাকা রোড এলাকায় পরপর দুটি সেতুর প্রথমটি অনেক আগে থেকেই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। বছর কয়েক আগে শুনেছিলাম এখানে নতুন সেতু নির্মাণ হবে। তবে কেন তা আজও করা হয়নি জানা নেই।
পথচারি রোস্তম আলী ও গোলাম সরোয়ার বলেন, এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই সেতু দিয়ে খুলনা বিভাগের দশটি জেলার বেশিরভাগ যানবাহনে এই রাস্তাতে আসা-যাওয়া করে। সুতরাং বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এখনই স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) মাগুরা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী জুয়েল রানা বলেন, সকালে খবর পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে নতুন একটি পোল পুঁতে লাইন প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করেছি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, নবগঙ্গা নদীর ওপর দিয়ে একই জায়গায় দুটি সেতু আছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুরাতন সেতুর সংযোগ সড়কের পাশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে সেতু সংলগ্ন রেলিংসহ রাস্তার কিছু অংশ ধসে নদীতে নেমে যায়। বিষয়টি জানার পর পরই সংশ্লিষ্টরা সেখানে মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। আপাতত বাঁশ দিয়ে বাধ সৃষ্টি করে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভরাট করা হবে। যাতে করে নতুন করে ভাঙ্গনের সৃষ্টি না হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
"