সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সিংগাইর
সরকারি স্থাপনা দখলে নিয়ে ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা মুক্তিযোদ্ধাদের
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম বাজারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট ভেঙে দিয়েছে সরকারি স্থাপনা। তারা ওই জায়গায় নতুন করে পাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ইউএনও মহোদয় নিষেধ করায় আপাতত কাজ বন্ধ আছে। তবে বিএনপি পন্থি বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘরটি দখলে নিয়ে সংস্কার করছেন বলে অভিযোগ চারিগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ অক্টোবর জানা গেছে, চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কোয়ার্টারের ঘরটি ভেঙ্গে ফেলেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগে ওই কোয়ার্টারের দুইটি কক্ষের মধ্যে একটি কক্ষে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুল আলম তালুকদার স্বাধীনের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড তাদের অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন।
এদিকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের কোনো কর্মী কোয়ার্টারে বসবাস না করার সুযোগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ওই কোয়ার্টার দখলে নেন। এরপর পুরনো স্থাপনা ভেঙে নতুন করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। ইতিমধ্যেই ওই জায়গায় দুটি দোকান ভাড়া দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসসহ উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান খাঁন (মজনু মিয়া) জানান, জায়গায়টা হয় কাউন্সিলের না হয় পোস্ট অফিসের। গত ১৫ বছরের অধিক সময় আগে প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান তাদের দান করেছেন। ইউএনও মহোদয় নিষেধ করায় আপাতত কাজ বন্ধ আছে।
চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুল আলম তালুকদার স্বাধীন বলেন, ওই ঘরটি ছিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রধানের পরিবার নিয়ে থাকার কোয়ার্টার। তারা আবাসিক হিসেবে ব্যবহার না করায় খালি পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বসতেন। এখন ওনারা বিএনপি পন্থি বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে ঘরটি দখলে নিয়ে সংস্কার করছেন। শুনেছেন তিনি স্থাপনাটি দাসেরহাটি গ্রামের তালেব আলীর ছেলে রাজ্যত আলীর কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
চারিগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খায়রুল বাশার বলেন, ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
ইউএনও পলাশ কুমার বসু বলেন, মালিকানা যাচাই করে প্রয়োজনে সরকারি বরাদ্দে তাদের বসার জন্য সংস্কার করা হবে। কারো ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই।
"