সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
সরিষাবাড়ীতে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বলে সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
চলতি বছরের ২৮ আগস্ট বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মোস্তাফিজুর রহমান ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশ করে ইউএনও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শারমিন আক্তারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আকন্দকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটি তদন্তের কাজ শেষ করে ইউএনও শারমিন আক্তারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এ লক্ষ্যে সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনের স্থলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান সামাদকে গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্বভার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। শোকজপত্রে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রবিধানমালা, এমপিও নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে ব্যাপারে লিখিত জবাবও চাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও শারমিন আক্তার স্বাক্ষরিত একটি শোকজপত্র পেয়েছি। যথাসময়ে তার লিখিত জবাব দেব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী ইউএনও শারমিন আক্তারের কাছে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী ইউএনও ও বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শারমিন আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়েছে।
"