পটুয়াখালী প্রতিনিধি
সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ইপিজেডের জমি অধিগ্রহণের ফাইল আটকে ঘুষ দাবি
পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ক্ষতিগস্তদের জমির ফাইল আটকে ৬ ভাগ ঘুষের টাকা দাবি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল.এ শাখার সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসাইন, বিশ্বজিৎ, মোশাররফ, নাজমুল, শাহাবুদ্দিন ও কালাম মুন্সির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন এক ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে, আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামে সরকার চার শতাধিক জমি অধিগ্রহণ করেন। কিন্তু সেই জমির টাকা পেতে ৬ ভাগ টাকা ঘুষ দাবি করেন এল.এ শাখার সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসাইন, বিশ্বজিৎ, নাজমুল এবং সাইফুল। তাদের ঘুষের টাকা না দিলে ভুক্তভোগীদের ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখেন সার্ভেয়ারা। তবে সার্ভেয়ারদের ঘুষের টাকা দিলে জমিজমার ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করলেও টাকা পাচ্ছেন অনেকে। এছাড়া বেশকিছুদিন আগে একই বিষয়ে সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসাইন, বিশ্বজিৎ, মোশাররফ, নাজমুল, শাহাবুদ্দিনমুন্সিসহ কালাম মুন্সির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন মৃধা। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা যেন সার্ভেয়ারদের ঘুষ দেওয়া ছাড়াই টাকা তুলতে পারেন।
এল.এ শাখার সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসাইন বলেন, এগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন জানান, খোঁজ নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"