নাটোর-বাগাতিপাড়া প্রধান সড়কের যোগীপাড়া এলাকার একটি কালভার্টসংলগ্নে রাস্তায় বড় রকমের ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় তা ধসে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। বছরখানেক আগে একই ঘটনায় ওই স্থানের একটি বাড়ি ধসে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তা মেরামত করলেও এখন আবার একই অবস্থা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দক্ষিণে বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন ও বাগাতিপাড়া পৌরসভার সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রধান সড়কের কালভার্টের নিচ দিয়ে খালের পানি প্রবাহের কারণে সড়কের একটি বড় অংশে মাঝে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বার বার ধসে যাচ্ছে সড়কটির একাংশ। কালভার্টের সামনের দুটি উইংওয়াল এর মধ্যে একটি খালের মধ্যে পড়ে আছে। এবং অন্যটি কালভার্ট থেকে ছুটে ভঙ্গুর অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। সড়কটি মুল সড়ক থেকে কিছুটা দেবে গেছে। ফলে ভারী ও হালকা যানচলাচলে বড় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

যোগীপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম জানান, সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে ২০২২ সালে এক দশমিক ৮ কিমি দৈর্ঘ্যের খালটি পুনঃখনন করা হয়। কালভার্টটি খাল খননের অনেক আগেই নির্মিত হয়েছিল। এ কারণে খালের গভীরতার চেয়ে কালভার্টের উচ্চতা মাটি থেকে অনেকটা ওপরে। আবার কালভার্টের সম্মুখভাগে পানি বের হওয়ার জায়গায় পশ্চিম পাশের উইংওয়াল পড়ায় পানির গতিপথে বড় বাধা সৃষ্টি হয়। এ কারণে কালভার্টের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বাগাতিপাড়া শাখার সভাপতি প্রভাষক আরিফুল ইসলাম তপু জানান, জেলা শহরের সঙ্গে সংযোগের প্রধান সড়ক এটি। এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ যানবাহনের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। তাছাড়া, এখান দিয়ে প্রতিদিন মালবাহী ভারী ট্রাকসহ ঢাকাগামী একাধিক বাস চলাচল করে। কালভার্টটিসহ আশপাশের রাস্তা দ্রুত সংষ্কার না করলে বিরাট বিপদের সম্ভাবনা আছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, এলজিইডি’র একটি দল ক্ষতি হওয়া স্থান পরিদর্শন করেছেন। জনস্বার্থ বিবেচনায় শিগগিরই সড়কটি মেরামত করা হবে।

"