গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর
জয়দেবপুর জংশনে ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি, টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালুসহ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে জয়দেবপুর জংশনে বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন নামে একটি সংগঠন।
গতকাল সোমবার সকাল ৭টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে ওই জংশন হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন ভাষা সৈনিক ও গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন হোসাইন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূঁইয়া, সদর মেট্রো থানার বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষক নেতা আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা কামরুল হাসান, গাজীপুর পূর্বাঞ্চল ঐক্য পরিষদের সভাপতি আলী আকবর মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা ফারুক ইসলাম প্রমুখ।
সংঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হক বলেন, জয়দেবপুর জংশন রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থস্থানে। এ জংশন থেকে প্রতিদিন ২০/২৫ হাজার যাত্রী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেনে যাতায়াত করে। অথচ এ জংশনে যাত্রী সেবা অত্যন্ত নিম্নমানের।
সংগঠনের ১০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত করা এবং আসন সংখ্যা ২’শ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার করা। তুরাগ ট্রেনে ৪টি মহিলা কোচসহ ১৬টি কোচ সংযুক্ত করে গাজীপুর-ঢাকা রুটে একাধিকবার চালানো। ঢাকা-গাজীপুর বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট ৪৫০টাকা পুনরায় চালু করা। টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্র্রেন পুনরায় চালু করা এবং টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে একাধিকবার চলাচল করা। আসন বিহীন টিকিটের মূল্য এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করা, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা। সকল ট্র্রেনে কমপক্ষে ১২টি বগি সংযুক্ত করা। ট্র্রেন ও প্লাটফরম হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত রাখা। ঢাকা-–গাজীপুর রেল-প্রকল্প দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা এবং জয়দেবপুর জংশনকে মানসম্মত ব্যবহার উপযোগী করা। জয়দেবপুর স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম দিকে বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিআরটি টার্মিনালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।
"