কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
কালীগঞ্জ-ঝিনাইদহ
খোয়ায় সংস্কার পাকা সড়ক অনিয়মের অভিযোগ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহ হামদহ বাসস্টান্ড পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার বেহাল মহাসড়কে বছরের অধিকাংশ সময় থাকে চলাচলের অনুপযোগী। রাস্তায় বড় বড় গর্তের স্থানে পিচের বদলে ইট দিয়ে মেরামত করা হয়। এতে রাস্তাটি কিছু দিনের মধ্যে আবার ভেঙে যায়। এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিআরডি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে যশোর থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার সড়ক ৬ লেনে উন্নিত করার জন্য একনেক সভায় ৪ হাজার ১৮৭ কোটি টাকার অনুমোদন পায়। পরে প্রস্তাবিত রাস্থার বাজেট বৃদ্ধি করে ৭১০০ কোটি টাকা করা হয়। জমি অধিগ্রহনের বাইরে পূর্নবাসন ব্যয় ১০৪ কোটি ও পরামর্শক ব্যয় ৩৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়। বাজেট অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটার রাস্তার ব্যয় ধরা হয় ১৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বিশাল এ কর্মযজ্ঞের ধীর গতির কারণে যশোর শহরের চাঁচড়া মোড় থেকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার রাস্থা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, দক্ষিন অঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন, রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্সসহ নানা যানবাহন চলাচলা করে। এ রাস্তা দিয়েই যশোর, খুলনা ও বেনাপোল স্থল বন্দরের গাড়ি প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা করে। অভিযোগ আছে গত কয়েক বছর এককভাবে কাজ করা একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতিতে তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের পিচ রাস্তায় ব্যবহার করার কারণে এমন অবস্থা। বর্তমান বেহাল সড়কটির যেসব স্থান অনেক বেশি বড় বড় গর্ত বা গভির গর্ত সেসব স্থানে পিচের বদলে ইট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। এতে রাস্তাটি কিছু দিনের মধ্যে আবার ভেঙে যাচ্ছে।
যশোর ঝিনাইদহ সড়কের বাস চালক খলিলুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, কয়েক বছরেও রাস্তা মেরামত হয় না, এ কেমন কথা। রাস্তার কারণে শুধু যাত্রী না, বাসের আয়ুও কমে যাচ্ছে।
এদিকে এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনায়েম লিমিটিডের প্রকল্প ব্যবস্থা পরিচালক আব্দুল সালাম জানান, কাজ পুরাদমে শুরু হয়নি। তারপরও যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাস্তাটি এখন অন্য ঠিকাদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে রস্তাটির দেখভাল করবে তারা।
"