ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

  ২০ অক্টোবর, ২০২৪

অফিস সহকারী সুলতানের খতিয়ান-বাণিজ্য

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর ভূমি অফিসের পিয়ন (অফিস সহকারী) মো. সুলতানের খতিয়ান (পর্চা) বাণিজ্য দেখার যেন কেউ নেই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পৌর ভূমি অফিসে কর্মরত মো. সুলতান গাজী তিনি দীর্ঘ বহু বছর একই অফিসে চাকরির সুবাদে চালিয়ে আসছে তার বিভিন্ন অপকর্ম, অনিয়ম ও দুর্নীতি। সুলতান গাজীর কাছে ভূমি অফিসের চাবি থাকায় তার খেয়াল খুশিমতো মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় সরকারি এস.এ খতিয়ানের বালাম বই দিনে এবং রাতের অন্ধকারে প্রায় সময়ই ফটোকপি করে বিক্রি করেন। যেখানে ৩ টাকা দিয়ে একটি ফটোকপি করা হলেও তিনি একটি ফটোকপি পর্চার মূল্য রাখেন একশত টাকা কিংবা কোনো পর্চার মূল্য রাখেন দেড়শত টাকা। এভাবেই চলছে তার রমরমা বাণিজ্য। প্রতিদিন তিনি কামিয়ে নিচ্ছেন প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা।

এছাড়া গত ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার সরকারি বন্ধের দিন থাকলেও পিয়ন সুলতান রাত ১০টার দিকে দেখা মিলে ফটোকপির একটি দোকানে। সাথে তার কালো একটি বাজারের ব্যাগের মধ্যে প্রায় ৩ থেকে ৪টি মোটা এসএ পর্চার বালাম বই ফটোকপি করতে দেখা যায়। সরকারি নিয়ম অমান্য করে ছুটির দিনে এভাবে চলছে তার পর্চা বিক্রির বাণিজ্য। হাতিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ জনগণের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ। ফটোকপির বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ভিডিও এলে পিয়ন সুলতান কান্নাকাটিসহ হাত-পা ধরা শুরু করে। তার অনিয়মের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে।

এ বিষয় ভান্ডারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা উজ্জ্বল হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু বন্ধের দিন কেন, কখনো বালাম বই বাইরে নিয়ে ফটোকপি করতে পরবে না। বিষয়টি আমি দেখছি।

এছাড়া পৌর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী এনায়েত হোসেন বলেন, ছুটির দিনে বালাম বই বাইরে নেওয়া আইন বহির্ভূত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close