কিশোরগঞ্জ ও ফকিরহাট প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

কিশোরগঞ্জ-ফকিরহাট

গৃহবধূকে ভগ্নিপতির বাড়ি নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

ফকিরহাটে ধর্ষণ মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের এক গৃহবধূকে ভগ্নিপতির বাড়িতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শ্যালক-দুলাভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে। পরে ওই গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেলের ওয়ান স্টাফ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

এদিকে বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিনভাইকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা র‌্যাব-৬ এর একটি দল। গত রবিবার রাতে ঝিনাইদাহ এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের ফকিরহাট মডেল থানায় হলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চলতি বছরের ৬ অক্টোবর (রবিবার) পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার চাপানি খালুয়াটারী গ্রামে ওই ঘর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সুমন (২৩) ও তার ভগ্নিপতি ডিমলা উপজেলার রব্বানী (২৫), সুমনের বন্ধু লিখন (১৯) ও মাজেদুল (২০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে সুমনের বাড়ির পাশে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। ৬ অক্টোবর (রবিবার) পানিয়াল পুকুর কাচারীর বাজারে তাদের দেখা হয়। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় ভগ্নিপতির বাড়ি ডিমলায় নিয়ে যান সুমন। সেখানে ভগ্নিপতি ও তার দুই বন্ধুসহ চারজনে মিলে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সিএনজি অটোরিকশায় তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।

ফকিরহাট প্রতিনিধি জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল দুপুরে আসামিদের বাগেরহাট আদালতে সোর্পদ করা হলে তাদের জেলহাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। ধর্ষণের ঘটনায় এর আগে ২ অক্টোবর কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফকিরহাট উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা যমজ ভাই গৌরাঙ্গ দাশ (৩৫) ও নিতানন্দ দাশ (৩৫) এবং তাদের বড় ভাই তন্ময় দাশ (৩৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে একটি কোমল পানীয় খেতে দেন গৌরাঙ্গ দাশ। এতে ওই কিশোরী ঘুমে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ঘরের জানালা দিয়ে পাশে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে পরিবারের লোকজন খুঁজাখুজির পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাগানে গৌরঙ্গ দাশ ও কিশোরীকে পান। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান গৌরাঙ্গ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close