পাবনা প্রতিনিধি
সাঁথিয়ার বড় পাইকশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়ের সড়কে জলাবদ্ধতা শিশুদের দুর্ভোগ
পাবনার সাঁথিয়ার বড় পাইকশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পার্শ্ববর্তী প্রধান সড়কের যাওয়ার কাচা রাস্তাটুকু সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায়। এই জলাবদ্ধতা পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে কোমলমতি শিশুদের জামা কাপড় ও বই খাতা ভিজে যায়। এ ছাড়া ওই সড়ক দিয়ে ফসলের মাঠে যেতেও দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দরা। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে শিশুশিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের বড় পাইকসা গ্রামের ইয়ামতির ডাইকের পাকা সড়ক থেকে বিদ্যালয় ও ফসলি মাঠে যেতে গ্রামীণ রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সরেজমিন জানা গেছে, পানির মধ্যে দিয়ে কোমলমতি শিশুরা চলাচল করছে। পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থী ছাড়াও বছরের বেশীর ভাগ সময় দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী।
জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নালা (ক্যানেল) রয়েছে। উত্তরপাশে বসতিদের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করে নালা নির্মাণ করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আজমত, সবুজ, বাচ্চু, মকছেদ জানান, বিদ্যালয়ের সঙ্গের সড়কে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টির পানিতে রাস্তা, বাড়িঘর পানি-কাদাতে নিমজ্জিত থাকে। তাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। জোর করে স্কুলে পাঠালে কাপড়চোপর ভিজে ফেরত আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। অত্যান্ত দুঃখের বিষয়, এই বিদ্যালয়ে আসার কোনো রাস্তা নেই। একটি মাত্র যে রাস্তা, তা সামান্য বৃষ্টির পানিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যহত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছি না।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রধান সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়কটি এটি। বৃষ্টি-কাদায় একাকার হয়ে থাকে। আমরাও বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দুর্ভোগের বিষয়টি জানতে পারলাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
"