সিলেট ও বেনাপোল প্রতিনিধি

  ০২ অক্টোবর, ২০২৪

পাথরের ট্রাকে ও বন্দরে বিপুল পরিমাণ কাপড় জব্দ

সিলেট সীমান্তে পাথর ভর্তি ট্রাকে অবৈধভাবে আনা প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যে ভারতী শাড়ি ও লেহেঙ্গা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে শাহপরাণ (রহ.) থানা-পুলিশ। গত সোমবার ভোরের দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের পীরেরবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট-তামাবিল সড়কে অভিযান চালিয়ে এসব কাপড় জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে কয়েক কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আনা উন্নতমানের কাপড় আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ভারত থেকে ট্রাকে আসা চালানটি গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে সময় বন্দরের ১৭ নম্বর শেড ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় আনলোড হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে ওই পণ্য কাগজপত্রবিহীন একটি কাভার্ডভ্যান ট্রাকে তোলার সময় কাস্টমস আটক করেন।

সিলেট প্রতিনিধি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট-তামাবিল সড়কে অভিযান চালায় জেলার শাহপরাণ থানা-পুলিশ। অভিযানে পাথর ভর্তি ট্রাকে করে ভারতীয় ৩ হাজার ৯৬২টি শাড়ি ও ২০২টি লেহেঙ্গো পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অভিযানের সময় ট্রাকে তিনজন ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজনকে আটক করা গেলেও, আরেকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বুধপাড়া গ্রামের মো. সাকিল ইসলাম (৩২) ও মো. মারুফ ইসলাম। তাদের সঙ্গে থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা তাহের (২৫)।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের পুলিশ পাহাড়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে যশোরের বেনাপোল প্রতিনিধি জানান, বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে উন্নতমানের গার্মেন্টস পণ্য শাড়ি, থ্রিপিছ, প্যান্টের কাপড়, বোরখা ও সোফার কাপড়ের একটি চালান কাভার্ডভ্যানে উঠানো হয়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উক্ত পণ্য আটক করে। তবে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই মালের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

বন্দরের ১৭ নম্বর শেডের ইনচার্জ মতিন বলেন, ‘এ পণ্য কার আমি জাানি না। কীভাবে তার শেডে নামল, তাও আমি বলতে পারব না। আমার এখানে প্রান্ত নামে একজন এনজিও কর্মী থাকেন। আমার অনুপস্থিতিতে তিনি মিয়ান নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সির আব্দুল্লাহ নামে একজন বর্ডারম্যানের সহযোগিতায় শেডে পণ্য লোড-আনলোড করে।’

তবে ১৭ নম্বর শেডের চাবি কর্মকর্তা মতিন কাছে থাকে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায়, মিয়ান নামে কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট নেই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোনো বর্ডারম্যানও নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, কী পরিমাণ পণ্য আছে, তা সরেজমিনে পরীক্ষণ না করে বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষণ করে মঙ্গলবার জানানো যাবে কত টাকার পণ্য ও কত টাকা রাজস্ব আসতে পারে। তিনি আরো জানান, আমদানিকৃত এসব পণ্যর কোনো কাগজপত্র এবং পণ্যের দাবিদার কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close