নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা আতাউর আটক
৩০ দোকানে তালা দিয়ে চাঁদা আদায়, বাসস্ট্যান্ডও দখলে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত বিভিন্ন মার্কেটে প্রায় ৩০টি দোকানে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান। পরে প্রত্যেক দোকানির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের দোকান খুলে দেন তিনি। এছাড়া উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডের চিহ্নিত চাঁদাবাজ বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। চাঁদাবাজির অভিযোগে গত রবিবার ভোরের দিকে উপজেলা হাবিবপুর গ্রাম থেকে আতাউর রহমানকে (৪৭) আটক করেছে সেনাবাহিনী। পরে তাকে সোনারগাঁ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আতাউর রহমান সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র আন্দোলনে নিহত-আহতের ঘটনায় মামলার আগে সোনারগাঁয়ের অনেক ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে থেকে মোটা অংকের বাণিজ্যের অভিযোগ আছে আতাউর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, আতাউর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে সড়ক ও জনপথের বিশাল জায়গা দখল করে ফলের দোকান বসিয়ে দোকান প্রতি ৫০০ টাকা করে প্রতিদিন দুই লাখ টাকার উপরে চাঁদা আদায় করেন। তাছাড়া নাফ ও বোরাক পরিবহন এবং ট্রাক স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পরিবহনে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছে। শুধু তাই নয়, আতাউর, মোতালেব কমিশনারসহ বিএনপির একাধিক নেতা মেঘনা গ্রুপের মেঘনা ইকোনমিক জোন ও বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে মালিকদের ওয়েস্টটেজসহ বিভিন্ন মালামাল তাদের দিতে নির্দেশ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আতাউরের ভাতিজা হৃদয় (৩৩) ও অনিক (২৬) এলাকায় মাদকের ডিলার হিসেবে পরিচিত। বিএনপি নেতা আতাউর ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর স্ত্রী বিউটির ছত্রছায়ায় একটি সিন্ডিকেট করে হৃদয় ও অনিক দীর্ঘ দিন যাবত ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী বলেন, ‘সেনাবাহিনী সদস্যরা আতাউর রহমানকে থানায় বুজিয়ে দিয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
"