তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০১ অক্টোবর, ২০২৪

তাড়াশের চলনবিলাঞ্চল

বৃষ্টিতে চাতালে শুঁটকি নষ্ট ক্ষতিতে মাছ ব্যবসায়ীরা

চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চার দিনের বৃষ্টির পানিতে প্রায় দেড় শতাধিক শুঁটকির চাতালে শুকাতে দেওয়া শুঁটকি পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় আট লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি শুঁটকির আড়তদার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।

জানা গেছে, চলনবিলাঞ্চলে শুঁটকি তৈরির চাতালে মিঠা পানির দেশিয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ যেমন, পুঁটি, চান্দা, ইছা (ছোট চিংড়ি), খলিশা টেংড়া, টাকি, বোয়াল, শোলসহ ১০ থেকে ১২ প্রজাতির মাছের শুটকি তৈরি করা হয়ে থাকে। যা চাহিদা অনুযায়ী সৈয়দপুর, রংপুর, নীলফামারী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সহদেশের বিভিন্ন শহরে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন শুটকি তৈরির আড়তদার বা ব্যবসায়ীরা। আর গত চার দিনের বৃষ্টিতে চাতালে রোদে শুকানোর জন্য ছড়িয়ে রাখা দেড় শতাধিক চাতালে গড়ে প্রায় আট লাখ টাকার শুঁটকির মাছ বৃষ্টির কারণে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে দাবি তাদের। আধা শুকনা মাছ গুলো দ্রুত চাতাল থেকে তুলে নেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অবশ্য গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে আড়তদারদের।

গত শনিবার সকাল থেকে রোদের দেখা মেলায় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা নতুন করে মাছ কিনে শুঁটকি চাতাল গুলোতে শুঁটকি তৈরির কাজ ফের শুরু করেছেন বলে জানান, মহিষলুট এলাকার শুঁটকির আড়তদার মো. দেলবার হোসেন, আবু বক্কার সিদ্দিক। তারা জানান, গত চার দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে দেশিয় মাছের শুটকি তৈরির ভরা মৌসুমে চলনবিলের নয় উপজেলার এলাকার বিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শুঁটকি আড়তদার বা ব্যবসায়ীদের বাশেঁর বাতা ও খুঁটি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ভাবে স্থাপনা করা শুঁটকির চাতালে শুকানোর জন্য ছড়িয়ে রাখা হয়।

মান্নানগর এলাকার শুটকির আড়তদার মো. নানু মিয়া জানান, ওইখানের বেশির ভাগ মাছ পঁচে গেছে। এতে প্রায় দেড় শতাধিক শুঁটকির চাতালে শুকাতে দেওয়া প্রায় আট লাখ টাকা মূল্যের ক্ষতি হয়েছে।

তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, গত চার দিন চলনবিলাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার ৬০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশগুল আজাদ জানান, চলনবিলের মাছের শুঁটকির সুনাম ও চাহিদা দুটোই রয়েছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনের একটা বড় ক্ষেত্র। এখানে থেকে প্রচুর পরিমাণ দেশিও মাছ উৎপাদন হয়। এ মাছ সারাদেশে পাঠানো হয়। মহিষলুটি এলাকায় শুটকি তৈরি হয়। যা সৈয়দপুর থেকে দেশের বাহিরেও যায়। তবে বৃষ্টির কারণে শুঁটকির চাতালে শুকাতে দেওয়া বেশ পরিমাণ মাছ পঁচে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নিরুপনে কাজ করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close