অমর ডি কস্তা, বড়াইগ্রাম (নাটোর)

  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রাম

আ.লীগ-বিএনপি নেতার সংঘর্ষ আহত ৯, বাইক-ঘর ভাঙচুর

বিএনপি নেতা সাইফুর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতা দুলাল হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব

নাটোরের বড়াইগ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও এক বিএনপি নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। ৪টি ঘর ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দুই পক্ষ।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের সৈয়দমোড় এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। এতে ব্যক্তিদের প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শনিবার ভোরের দিকে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়েছে।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃ-কাছুটিয়া গ্রামের বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের সঙ্গে জোয়াড়ী গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা দুলাল হোসেনের দ্বন্দ্ব।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা দুলাল হোসেনের দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কথাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠি, হাসুয়া, দা, কুড়াল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান (৩৫), মাহফুজুর রহমান (২৪), জুয়েল রানা (৩২), আল আমিন আকাশ (২৬), আল আমিন (২০), রিয়াদ হাসান (১৭), আব্দুর রহিম (২৮)। অপর পক্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী কসের উদ্দিন (৫৬), জিল্লুর রহমান (৩৮), ওসমান আলী (১৮)। এর মধ্যে হাবিবুর ও  মাহফুজুর রহমানকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপি নেতা সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন বলেন, ‘আমাদের আম বাগানে দুলাল হোসেনের লোকজন প্রবেশ করে বাজে আড্ডা করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি চায়ের স্টলে রাজনৈতিক আলাপ নিয়ে কথা-কাটাকটির এক পর্যায়ে দুলাল তার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের ছয়জন আহত হয়েছে। এ সময় ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল হোসেন জানান, সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন ও আব্দুর রহিমের সঙ্গে গাঁজা বিক্রির বিষয় নিয়ে জামাত আলীর ছেলে নাইম ও শহিদুল ইসলামের ছেলে শিহাবের দ্বন্দ্ব হয়। এ সংক্রান্ত আট মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে।

দুলাল বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় সাইফুর বিএনপির লোকজন নিয়ে এসে জামাত আলী ও শহিদুল ইসলামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরে তারা আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার ভাই কসের উদ্দিন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে আমার ভাতিজারা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এই হামলায় আমাদের ৩ জন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

জানতে চাইলে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close