গাজীপুর প্রতিনিধি
নেশার ভাগ না দেওয়ায় বোতলের ভাঙা কাচে সৎ ভাইকে হত্যা
গাজীপুরে মহাসড়কের বিভাজক থেকে উদ্ধার হওয়া আবু বক্কর (২৫) হত্যা অভিযোগে তারই সৎ ভাই হালিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেশার জাতীয় দ্রব্যের (ঘুমের ট্যাবলেট) ভাগ না দেওয়ার ক্ষোভে কাচের ভাঙা বেতল দিয়ে বুকে আঘাত করে ছোট ভাইকে হত্যা করেন।
গতকার বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার হালিম জিজ্ঞাসাবাদে ভাই আবু বকরকে হত্যা কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার জেলার সদর উপজেলার বাগের বাজার এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের মধ্যে থেকে আবু বক্করের লাশ লাশ উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকালে জানা যায়, হালিম ঘুমের ২০টি ট্যাবলেটের ভাগ না পেয়ে রাগে ভাঙা বেতলের ধারালো অংশ দিয়ে আঘাত করে তার ভাইকে হত্যা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান, আবু বক্করের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার গরজা গ্রামে। সে বোতল কুড়াতো (টোকাই) এবং তার ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধি হালিম ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তারা বাঘেরবাজার এলাকায় মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজের ওপর রাতে ঘুমাতেন। হালিম তার মায়ের প্রথম সংসারের ও আবুবক্কর দ্বিতীয় সংসারের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে হালিম বাঘেরবাজার ওভারব্রিজের ওপরে ভিক্ষা করার সময় আবু বক্কর তার কাছ থেকে ১০০ টাকা নেয়। পরে হালিম তাকে খুঁজতে বের হয়ে দেখেন, আবু বক্কর জুতার আঠা (জাতীয় নেশাদ্রব্য) সেবন করছে। এ সময় হালিমের কাছে টাকা চাইলে না পেয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারে। পরে আবু বক্কর ঘুমিয়ে পড়লে হালিম কাঁচের বোতল ভেঙে তার বুকে পাঁচটি আঘাত করে ফুট ওভারব্রিজে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ফের ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু বক্করকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন হালিম।
সংবাদ সম্মেনে অন্যান্যের মধ্যে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
"