দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এতো বছরেও গড়ে ওঠেনি বাস টার্মিনাল ও যাত্রী ছাউনি। নিলফামারী থেকে ফুলবাড়ী, সৈয়দপুর-পার্বতীপুর থেকে ফুলবাড়ী, দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী মহাসড়ক হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট-বিরামপুর-নবাবগঞ্জ থেকে ফুলবাড়ী, রংপুর মিঠাপুকুর হয়ে ফুলবাড়ীর সড়ক যোগাযোগ পথ উন্নতি হলেও যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে

জরুরী একটি বাস টার্মিনাল ও যাত্রী ছাউনির প্রয়োজন বলে জানান বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যানবাহনগুলি চারিদিক থেকে এলোমেলোভাবে যাতায়াত করছে। গাড়ি দাঁড়াবে কোথায়, যাত্রী উঠবে কোথায় এখানে কোন শৃঙ্খলা নেই। রাস্তায় রাস্তায় শ্রমিকেরা টেবিল নিয়ে বসে গাড়িতে যাত্রী ওঠানামা করছে। বাস টার্মিনাল করার উপযুক্ত জায়গা থাকলেও সরকারিভাবে এখানে এখনো বাস টার্মিনাল করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা। ফুলবাড়ীতে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব একটি বাসষ্ট্যান্ড থাকলেও সেখানে আধুনিক কোন উন্নতি হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অপরদিকে ফুলবাড়ীর ঢাকা মোড় থেকে উর্বশী সিনেমা হল পর্যন্ত দূরপাল্লার যানবাহনগুলির কাউন্টার থাকলেও এসব কাউন্টার জায়গার অভাবে অন্যত্র চলে যেতে পারছে না। ফলে বছরে ঈদ এলে ঈদের পরেই ২-৩ মাইল পর্যন্ত যানবাহন জ্যাম হয়ে যায়। কারণ ঈদের ছুটিতে আসা শত শত যাত্রী বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে এখানে গাড়িতে ওঠেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিন দিন ফুলবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি দোকানপাট হোটেল রেস্তোরা ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় জায়গা কমে যাচ্ছে। ফলে শহরে দিন দিন যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে।

ফুলবাড়ী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মহসীন আলী সরকার বলেন, উপজেলায় গত এক বছরে অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের নিজস্ব ১০০ শতক জায়গা রয়েছে। সেখানে সরকার বাস টার্মিনাল নির্মাণ করলে সড়ক দুর্ঘটনা ও যত্রতত্র দূরপাল্লার যানবাহন দাঁড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। আমি মনে করি সরকার গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখলে সমাধান হয়ে যাবে।

উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. মামুন বলেন, উপজেলার সচেতন মহল জরুরী ভিত্তিতে শহরের বাহিরে বাস টার্মিনাল ও যাত্রী ছাউনি গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে।

"