হামিদুর রহমান, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)
হবিগঞ্জের মাধবপুর
স্ট্যান্ডের টোল আদায় নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৯
ইজারাদারের বাইরে শ্রমিক সমিতির নামে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় * অবৈধভাবে টাকা আদায়কারীরা ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষের লোকজন * অন্তত ১২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পৌরসভার একটি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের টোল আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ মহিলাসহ ১৯ জন আহত হয়েছে। এ সময় অন্তত ১২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মাধবপুর পৌরসভার গাবতলী সিএনজিচালতি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। এর আগের দিনও দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল।
জানা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর ৬ সেপ্টেম্বর গাবতলী অটোরিকশা (সিএনজি) স্ট্যান্ডের ইজারা পান পৌরসভার পশ্চিম মাধবপুর এলাকার সেলিম মিয়া। এর পর থেকে স্ট্যান্ডে অটোরিকশা থেকে টোল আদায় শুরু করে তিনি। এদিকে গত বুধবার সন্ধ্যায় আরেকটি পক্ষের সঙ্গে ওই টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ইজারাদারের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের সময় অন্তত ১২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের নারীসহ ১৯ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের ১৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট, ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পশ্চিম মাধবপুর এলাকার শাহীন মিয়া (৩০), হারিস মিয়া (৩৫), জুলহাস মিয়া (৫০), সেলিম মিয়া (৩৫), গোয়াল নগর এলাকায় মোজাহিদ মিয়া (২৫), মরিয়ম জাহান ঝুমা (১৭) আরিফ (২৬), হীরা মিয়া (৫০) রেনু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা (৪২)।
আহতদের মধ্যে আরো আছেন আবুল কাশেম (২০), জুনাইদ (২৮), জুয়েল (৩২), বিশাল মিয়া (২৬), সোহেল মিয়া (২৩), সোহেল মিয়ার স্ত্রী মেনেকা বেগম (২০), পলাশ মিয়া (৩৫), মোহন মিয়া (২৮), বাবুল মিয়া (২৮) ও পায়েল মিয়া (১৮)।
জানতে চাইলে ইজারাদার সেলিম মিয়া বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর ইজারা পেয়ে পর দিন থেকে টোল আদায় শুরু করি। প্রথম থেকেই একটি পক্ষ বিভিন্নভাবে আমাদের টোল আদায়ে বাধা তৈরি করে আসছেন। তারা স্ট্যান্ড থেকে অবৈধভাবে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন।’
স্থানীয় লোকজন জানায়, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সাইদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন) নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই একটি দল শ্রমিক সমিতির নামে অবৈধভাবে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে অটোরিকশা থেকে।
তবে অপরপক্ষের খোকন মিয়া জানান, ‘সিএনজি (অটোরিকশা) স্যান্ডকে কেন্দ্র করে রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসার সময় ইজারাদার পক্ষ আমাদের বাধা দেয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় আমাদের এলাকার একজনকে মারধর করে। এরই জেরে আজ সকালে আবারও ঝগড়া হয়। তার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’
জানতে চাইলে সংঘর্ষে তথ্য নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
"