নাটোর ও শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
সিংড়ায় গৃহবধূকে দলবদ্ধ শ্রীমঙ্গলে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ
নাটোরের সিংড়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে উপজেলার চৌগ্রাম ও ডাহিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্র্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্র্রেপ্তার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা-পুলিশ। গত বুধবার রাতে মির্জাপুর ইউনিয়নের কামাসিদ গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর জাহাঙ্গীর মিয়াকে (২৫) নিজ বাড়ি থেকে গ্র্রেপ্তার করা হয়।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, উপজেলার গ্র্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চৌগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল মন্ডল, একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সদস্য গোপাল চন্দ্র সরকার (২২), চৌগ্রামের বাসিন্দা রাকিব আলী (২২), আব্দুল মমিন (২২), ডাহিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪২) ও ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বুদ্দু মোল্লা (৩৮)।
সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) আকবর আলী জানান, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গৃহবধূকে তার স্বামী বুদ্দু মোল্লা ও প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় ধর্ষণ করে রাকিব আলী নামে এক যুবক। এ সময় গ্রাম পুলিশ গোপাল চন্দ্র সরকার ও অপর যুবক রুহুলের পাহারায় ছিলেন। পরে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ওয়ার্কসপে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন যুবদল নেতা নাজমুল আলী মন্ডল ও তার ছোট ভাই সাদ্দাম মন্ডল এবং আব্দুল মমিন।
ধর্ষণের ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে গৃহবধূর স্বামীসহ ছয়জনকে গ্র্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত আরো দুজন গা-ঢাকা দিয়ে আছেন।
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় মা প্রবাসী ও বাবা চাকরিজীবী হওয়া সুযোগে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন জাহাঙ্গীর। তার ভয়ে ঘটনা গোপন রাখে মেয়েটি। এক পর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারি পরীক্ষায় তার চার মাসের অন্তঃস্বত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন মেয়েটির বাবা।
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন তালুকদার। ওসি বলেন, ‘গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর বিবাহিত, তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আমরা তাকে বিধি মোতাবেক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।’
"