নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তার তারাটিয়া গ্রামে সেতু নির্মাণকাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার চলে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫০ গ্রামের মানুষ। সেই সঙ্গে চলাচলের জন্য পাশে তৈরি কাঠের নিচু সেতু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম বিপাকে পড়েছেন এই অঞ্চলের ব্যবসায়ী, কৃষকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ। বর্তমানে খালটি পারাপারে নৌকাই একমাত্র ভরসা।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল সেতু প্রকল্পের আওতায় সাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর-সাহাগোলা রাস্তায় ২০ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে নওগাঁ এলজিইডি বিভাগ। গত বছরের ৯ নভেম্বর সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল। আর দরপত্রের মাধ্যমে জুয়েল ইলেকট্রনিকস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতু নির্মাণকাজ শুরু করেন চলতি বছরের মে মাসে। এরপর থেকে নির্মাণকাজের কোনো অগ্রগতি না থাকায় বর্ষা মৌসুমে খালে পানি জমে যাওয়ার অজুহাতে নির্মাণকাজ ফেলে রেখে চলে যান ঠিকাদার। ঠিকাদার সেতুর পাশ দিয়ে কাজের শুরুতে মানুষের চলাচলের জন্য একটি নিচু কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। খালে অল্প পানি বৃদ্ধি পেতেই সেতুটি তলিয়ে যাওয়ায় পথচারীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

তারাটিয়া গ্রামের খালিদ হোসেন বলেন সাহাগোলা, ভবানীপুর, তারাটিয়া, শ্রীরামপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন এ রাস্তা দিয়ে। এই রাস্তার তারাটিয়া সেতু ভেঙে ফেলায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা।

সাহাগোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম মামুনুর রশিদ বলেন, সেতু নির্মাণকাজে ঠিকাদারের অবহেলায় পথচারীদের পাশাপাশি জরুরি পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ী, কৃষক ও প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যদি কাঠের তৈরি সেতুটি একটু উঁচু করে দিত, তাহলে ছোট ছোট যানবাহন ও মানুষ সহজেই চলাচল করতে পারত। আমি চাই ঠিকাদার দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সেতুটি নির্মাণ শেষ করুক।

ঠিকাদার দিদারুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কাজের সময় সীমা আছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানি শুকিয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

নওগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে ওই খালে পানি জমে থাকার কারণে সেতুটির নির্মাণ ব্যাহত হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা সেতুর নির্মাণ শেষ করতে পারব। আর পাশে সংযোগকারী কাঠের সেতুটি বেশি উঁচু করলে খরচ বেশি হবে। তাতে ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে।

"