ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি ও নিয়োগে অনিয়ম সুপারের
ভূরুঙ্গামারীতে অভিযোগ : প্রতিকার চেয়ে সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ * জাল নিবন্ধন সনদে ভাতিজা মোস্তাফিজুরকে এমপিওভুক্ত করান সুপার * টাকা না দিলে রেজুলেশনে দেন না স্বাক্ষর। বেতন-ভাতা বন্ধের হুমকি দেন সুপার
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতিসহ নিয়োগে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে শহিদুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২২ বছর অফিস সহকারী পদে চাকরির পর জালিয়াতি করে চলতি বছরের আগস্টে সফিয়ার রহমানকে এবতেদায়ী জুনিয়র শিক্ষক দেখিয়ে নতুন করে এমপিওভুক্ত করেন সুপার। অথচ অফিস সহকারী পদে ২০০২ সালে নিয়োগ পান সফিয়ার এবং ২০১৪ সালের জুলাইয়ে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত হন।
এদিকে অফিস সহকারী পদ শূন?্য দেখিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওই পদে (এসিও) মো. খালেদুজ্জামানকে (সুপারের আপন ভাগিনা) নিয়োগ দেন। তার বর্তমান বয়স ৪৬ পেরিয়ে গেছে। যা এমপিও ভুক্তির শর্তকে লঙ্ঘন করে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মাদরাসা সুপার ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর তার ভাতিজা মোস্তাফিজুর রহমানকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বিধিমালায় নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক হলেও তার (মোস্তাফিজুর) কোনো নিবন্ধন সনদ নেই। সুপার অনলাইনে সার্চ দিয়ে একই নামীয় অন্য ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ২০১৮ সালের ১ মার্চে এমপিওভুক্তি করান।
এদিকে মাদরাসার কর্মচারী মজিবর রহমান গত ২০০০ সালের ৫ আগস্ট এম.এল.এস.এস পদে যোগদান করেন। ২০০১ সালের ২৫ অক্টোবর এমপিও ভুক্ত হন। জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ভুল থাকায় এমপিও কপিতে বেতন-ভাতা এলেও নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একতরফা সিদ্ধান্তে গত ৮ মাস থেকে তা স্থগিত করে রেখেছেন। এছাড়া ওই কর্মচারীর চাকরিজীবনের ২২ বছর পার হলেও উচ্চতর স্কেল থেকে বঞ্চিত রেখেছেন সুপার।
এছাড়া উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ হাতিয়ে নেন। স্বেচ্ছাচারীতা এবং স্থানীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে শিক্ষক, কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও উচ্চতর স্কেলের রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেওয়ার সময়ে টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে বেতন ভাতা বন্ধ রেখে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার সাইদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস জানান, এ বিষয়ে মাদরাসা সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে।
"