নরসিংদীর পলাশে হাটবাজার পরিচালনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপির নেতকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে এই সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কয়েকদিন ধরে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চরসিন্দুর বাজারে কলারহাট ও পশুরহাট পরিচালনা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইউনিয়নের বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট চলাকালীন শিক্ষার্থীরা হাটে অবস্থান নেন। তবে সন্ধ্যার পর বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী হাটে অবস্থান নিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

সংঘর্ষে ত দুপক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। গুরুত্বর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী সাইমন রসূল শান্ত গাজী জানান, ‘বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে হাটবাজারে চাঁদা তুলতেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়ে তাদের কাছ থেকে হাটবাজার উন্মুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট চলাকালে রাত ৮টার দিকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষে ঘটনাটি শুনেছি। তবে এলাকার বাইরে থাকায় কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে পারিনি।’

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকতিয়ার উদ্দিন জানান, ‘সাপ্তাহিক হাট পরিচালনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।’

"