কুবি প্রতিনিধি

  ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কুবিতে প্রার্থনাকক্ষের জন্য ১৪ দিনের সময়সীমা সনাতনী শিক্ষার্থীদের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) স্থাপনের ১৮ বছরেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মচর্চার জন্য মন্দির নির্মাণ হয়নি। এবার মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। মন্দির নির্মাণের আগ পর্যন্ত একটি অস্থায়ী প্রার্থনাকক্ষের দাবি জানিয়েছেন তারা। এজন্য দুই সপ্তাহের (১৪ দিন) সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

গত সোমবার রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দীর্ঘ ১৮ বছরেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা-অর্চনার জন্য মন্দির ও প্রার্থনাকক্ষ স্থাপন হয়নি। প্রতিবছর সরস্বতী পূজা, জন্মাষ্টমী, দীপাবলি, রাধাষ্টমী, হোলি উৎসবসহ প্রতি বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক প্রার্থনার জন্য মুক্তমঞ্চ, প্রশাসনিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়ার কক্ষগুলো ধার করে ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা শহরের মন্দিরগুলো ছাড়া আশপাশে কোনো মন্দির নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মোতাবেক, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের ১৯টি বিভাগে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী প্রায় ৬০০ জন ও শিক্ষক প্রায় ৩০ জন। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। প্রতিবছরই পুজাসহ ধর্মীয় চর্চায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

রেজিস্টার মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বলেছে পূর্ববর্তী প্রশাসনের কাছে একাধিকবার মন্দিরে দাবি তুলেছে। কিন্তু কেন এখনো এটি কার্যকর হয়নি সেটা বলতে পারছি না। এই বিষয়ে এখন আমার কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার নেই। নতুন উপাচার্য নিয়োগ হলে আমি তার কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করব। সনাতনীদের দাবিটি যৌক্তিক, নতুন উপাচার্য যাতে ইতিবাচক সাড়া দেয়, বিষয়টি সেই ভাবেই তার কাছে উপস্থাপন করব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close