আরিফুল ইসলাম জিমন, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)

  ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ঘোড়াঘাট

ডাকঘর নয়, যেন ময়লার ভাগাড়

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাটশ্যামগঞ্জ ডাকঘরটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দেখলে মনে হয় যেন এটি ময়লা ফেলার ঘর।

জানা গেছে, উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজারে ১৯২৬ সালে হাটশ্যামগঞ্জ নামে একটি সাব-পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়। সেসময় হক সাহেব নামের একটি ব্যক্তি প্রথম পোস্ট মাস্টার হিসেবে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ডাকঘরটি ভাড়ায় পরিচালনা করে আসছিল। তিনি ১৯৯৬ সালে কিছু পূর্বে মারা যান। এরপর হক সাহেবের স্থলে তারই এক বিশ্বস্ত সাইদুল ইসলাম ওরফে সহিদুল ইসলাম নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডাকঘরটি দীর্ঘদিন সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ঘরে পরিচালিত হয়ে আসছিল।

২০০৮ সালের দিকে হাটশ্যামগঞ্জ ডাকঘরটির ভবণ নির্মাণের জন্য সাড়ে ৮ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ আসে। কিন্তু ডাকঘর নিজস্ব কোনো জমি-জমা না থাকায় বরাদ্দটি ফেরত দেওয়ার উপক্রম হয়। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলার রামপুরটুবঘরিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান প্রভাষক আব্দুল খালেক মন্ডল বাজার সংলগ্ন রাণীগঞ্জ-সুরামসজিদ রাস্তার পাশে ৪ শতক জমি বিনামূল্যে ডাকঘর নামে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে দেয়।

ডাকঘরের ঘর নির্মাণ হলে সরকারিভাবে অনেক কিছু বরাদ্দ চলে আসে। কিন্তু বরাদ্দকৃত মালামালগুলো ডাকঘরটিতে স্থান পায়নি। এখানে একজন সাব-পোস্ট মাস্টার ও একজন চিঠিপত্র বিলি কারক থাকলেও ঘরের দরজা কোনো দিন খোলা হয়নি। ভবন নির্মাণের পর ডাকঘর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনোদিন খোঁজখবরও নেয়নি। ডাকঘরটি কার্যক্রম ওই সাব-পোস্ট মাস্টারের নিজ বাড়িতেই সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে স্থানীয় লোকজন পরিত্যক্ত ডাকঘরের চারিদিকে ময়লার আঁতুড় ঘর বানিয়ে ফেলেছে। ডাকঘরটি রাস্তার ধারে হওয়ায় ময়লার আবর্জনার দুর্গন্ধে রাস্তা চলাচলে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

ডাকঘররি বেহাল সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলামকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close