আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
স্লুইসগেট দখল করে পানি বন্ধ জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি
আমতলীতে অভিযোগ
বরগুনার আমতলীতে পশ্চিম গাজীপুর গ্রামে একদল প্রভাবশালী ১৯৬৯ সালের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ পাকা রাস্তা কেটে রেকর্ডিও জমিতে খাল কাটার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী মো. রেজাউল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, ১৯৬৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের জনসাধারণকে বন্যা জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন এবং একই সঙ্গে পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের জনসাধারণের কৃষি জমিতে যাতে বর্ষাও সময় জলাবদ্ধতা না দেখা দেয় সে জন্য একটি ফ্লাসিং স্লুইসগেট নির্মাণ হয়। কিন্তু এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা ওই ফ্লাসিং সুøইসগেট দখল করে বাড়ি ঘর করে পানি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় পশ্চিমগাজীপুর গ্রামে এই বর্ষায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয় রেজাউল করিম বলেন, গাজীপুর- গলাচিপা ধানখালী সংযোগ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের পাকা রাস্তা কেটে এবং পাকা রাস্তায় বেড়া দিয়ে চলা বিঘ্ন সৃষ্টি করেন স্থানীয় প্রভাবশালী সফিউল ইসলাম, মজিবুর মৃধাসহ একাধিক লোকজন। তারা কৌশলে আমাদের রেকর্ডিও জমি ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য রাস্তা কেটে খাল খনন করছে। অন্যদিকে উপজেলার পশ্চিমগাজীপুর গ্রামে পানি উন্নয়ন বের্ড কর্তৃক নির্মিত ফ্লাসিং স্লুইসগেট দখল করে রাখায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফ্লাসিং স্লইসগেট খুলে দেওয়ার দাবি।
আরো জানা গেছে, সম্প্রতি একটি প্রভাবশালী মহল মৃত আজাহার উদ্দিন মাষ্টারের বাড়ির নিকট দিয়ে পটুয়াখালী-আমতলী মহাসড়ক থেকে গাজীপুর-গলাচিপা ধানখালী সংযোগ সড়কের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি পাকা রাস্তা দিয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত বিভিন্ন ধরনের যানবহন ও হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচল করে।
ভুক্তভোগি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আজিজুল হক রত্তন মাষ্টার বলেন, এই জলাবদ্ধতা দুর করার জন্য এলাকার কিছু সুবিদাবাদী লোক সুযোগ বুঝে আমতলী, গাজীপুর, ধানখালী, গলাচিপা সড়কের রত্তন মাষ্টারের বাড়ির নিকট দিয়ে সড়ক কেটে পানি সরানোর জন্য ওঠে পড়ে লেগেছে।
উল্লেখ্য এই বন্যানিয়ন্ত্রন বাধের ওপর দিয়েই এই সড়কটি অবস্থিত। এলাকার কিছু লোক ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমার বাড়ির নিকট দিয়ে সড়ক কেটে পানি নামাতে চায়।
যেখান দিয়া বন্যানিয়ন্ত্রন বাধ কাটা হচ্ছে সেখান থেকে ৫০০-৬০০ ফুট দুরে ফ্লাসিং স্লইজগেট রয়েছে এমন দাবি রত্তন মাষ্টারের।
রত্তন মাষ্টার আরো বলেন, এখান দিয়ে সড়ক কাটায় বন্যা জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে পড়বে পশ্চিমগাজীপুরসহ কয়েকটি গ্রাম ও আমতলী গাজীপুর সড়কের কুকুয়াহাট সলগ্ন বেইলি সেতুটি। আজিজুল হক রত্তন মাষ্টারসহ এলাকাবাসী ফ্লাসিং স্লইসগেট খুলে দেওয়ার দাবি জানায় প্রশাসনের কাছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সফিউল মৃধা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পানি নিস্কাশনে আমরা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে দিয়েছি। তবে স্লুইজগেট দখল করে পানি নিস্কাশন বন্ধ করে রেখেছেন কেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি? এদিকে মজিবুর মৃধা কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম এ ব্যাপারে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"