ফুলগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি

  ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ফেনীর ফুলগাজী

বন্যায় ১০ দিনে ছয় জনের প্রাণহানি

৬ জনের মৃত্যুর বিষয়ে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন

ফেনীর ফুলগাজীতে আকস্মিক বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, গেলো ২০ আগস্ট থেকে বন্যা শুরু হয়। গত ২১ আগস্ট রাত ১টার পর থেকে ভারতীয় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে ফুলগাজী পরশুরাম এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পানি বেড়ে যায়। যা অতীতের শত বছরের ইতিহাসকে হার মানায়।

একদিকে পানি যখন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় তখন মানুষজন পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। কারো ঠাঁই হয়েছে প্রশাসন ও আশ্রয় কেন্দ্রে, আর নিম্নাঞ্চলের মানুষ আশপাশের পাকা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে কেউ প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজ বসতঘর অন্য জায়গায় নিরাপদে আশ্রয় নিতে গিয়ে পানির স্রোতে ভেসে যায়। কেউ বা বাব-মায়ের খোঁজ নিতে আসার সময় পানির স্রোতে ভেসে মৃত্যু হয়। ফুলগাজী উপজেলায় বন্যায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

মৃতরা হলেন- আমজাদহাট ইউনিয়নের শনিরহাট গ্রামের মো. নরুল ইসলামের মেয়ে রজ্জবের নেচা (২৫)। মুন্সীরহাট ইউনিয়নের করইয়া গ্রামের মো. বেলাল হোসেনর ছেলে এমরান হোসেন কিরন (২০), নোয়ারপুর গ্রামের হাবিবের স্ত্রী শাকিলা মজুুমদার (২২), ফুলগাজী শ্রীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রাজু (২১), কিসমত বাশুড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আবুল খায়ের (৫৫), জিএমহাট লক্ষীপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ তারেক (৩৫)।

মৃত রজ্জবের নেছার বিষয় জানতে চাইলে তার কাছের আত্মীয় মো. শাহআলম জানান, ২১ তারিখে আমজাদহাট গজারিয়া খালের পাশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। রজ্জবের নেছা ঘরে পানি উঠতে দেখে অন্য স্থানে নিরাপদে থাকার জন্য বের হলে, গজারিয়া খালের ভাঙ্গণ স্থান পার হওয়ার সময় পানির স্রোতের ভেসে যায়। ৯ দিন পর তার লাশ পাওয়া যায়।

কিরণের পরিবারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২১ তারিখের পর থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় বিদুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ছিলো। যার কারণে পরিবারের কোন খোঁজ পাচ্ছিলোনা ছেলে কিরণ। কিরণ চট্টগ্রামে আনসার বাহীনিতে চকরি করতো। মা বাবার খোঁজ নিতে চট্টগ্রাম থেকে এসে নিজ বাড়ি থেকে একটু অদুরে ভাঙ্গণ স্থান পার হওয়ার সময় পানির স্রোতে ভেসে তার মৃত্যু হয়।

ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা বিএনপির পক্ষথেকে বন্যায় নিহত সদস্যদের পরিবার সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

ইউএনও তানিয়া ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা প্রশাসনের পক্ষথেকে নিহত সকলের পরিবারকে পূর্নবাসনের ব্যাবস্থা করবে, জেলা পরিষদ থেকে একজন কে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকলকে দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close