আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রামের আনোয়ারা

শঙ্খের পানিতে বেড়িবাঁধে ভাঙন ঝুঁকিতে বসতঘর ও ফসলি জমি

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়ছে। সহসা সংস্কার করা না গেলে পুরো বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশের শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ব্লক বসানো না হলে নদীতে বিলিন হবে গ্রামের হাজারের অধিক বসতঘর। তবে ভাঙনের ১২০০ মিটার অংশে ব্লক বসানোর বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাল মিস্ত্রি, জমির উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন, রব্বানির বাড়ির কাশেম মিস্ত্রির ঘরের পাশে বেড়িবাঁধ ধসে পড়ছে। যেকোনো মুহূর্তে পানি বাড়লে এসব ঘরে পানি ঢুকবে। এছাড়া বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক বন্যার সময়ে শঙ্খনদে পানি বেড়ে গেলে আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের সাপমারা খাল থেকে খুরুস্কুল গোদারপাড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে অন্তত চার কিলোমিটার বাঁধের বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় পানির ধাক্কায় বাঁধ ভেঙে গিয়ে ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আবারও যদি পানি বাড়ে তাহলে বাঁধ পুরোপুরি বিলীন হয়ে পড়তে পারে।

স্থানীয় লোকজন জানান, জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের মাঝির ঘাট থেকে নাপিত খাল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার, মাতবর হাট থেকে শান্তির হাট ও গোদারগোড়া পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া, রব্বাত মিয়ার বাড়ি থেকে মৌলভীবাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধও ভাঙনের কবলে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, ইউনিয়নের ১৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে দুই কিলোমিটার অংশে সিসি ব্লক বসানো হলেও অবশিষ্ট অংশ এখনো মাটির বাঁধ। বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ দেওয়া হলেও ভাঙন রোধ সম্ভব হয়না। এতে করে এ নদে সামান্য পানি বাড়লে ভাঙন দেখা যায়।

স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান খোকা বলেন, বেড়িবাঁধের কাজে অনিয়ম হওয়ায় পুরো ইউনিয়ন এখন হুমকির মুখে। অতিদ্রুত সিসি ব্লক দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না গেলে ইউনিয়নের বড় অংশ শঙ্খে তলিয়ে যেতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ের প্রায় চার কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের জন্য ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ১২০০ মিটার এবং রায়পুর ইউনিয়নের ১২০০ মিটার বাঁধ সিসি ব্লক দিয়ে সংস্কারে এসব টাকা ব্যয় করা হবে। অবশিষ্ট অংশের জন্যও মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close