গাজীপুরের টঙ্গীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যোগদানে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে শিক্ষক পদত্যাগসহ ৮ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাসেম একটি সাদা কাগজে লিখিত আকারে পদত্যাগ করেন। পরে ছাত্রছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্রীড়া শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তফা কামালকে সাময়িক বরখাস্ত করেন বিদ্যালয়ের গর্ভানিং বোডির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন সরকার।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষকরা নানাভাবে হয়রানি করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিয়েও তাদের মারধর করানো হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের কটুক্তি করে প্রচার চালান। এসব বিষয়সহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গভর্নিং বডির একাধিক সদস্যের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ৮ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে আছে, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, শিক্ষক মোস্তফা কামাল ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেমকে পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মোতালেবকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিন মাসের জন্য দায়িত্ব দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো প্রকার দলীয় রাজনীতি থাকবে না বলে হুঁশিয়ার দেয় শিক্ষার্থীরা। যে সব শিক্ষকরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের রাজনৈতিক কোনো প্রভাব প্রতিষ্ঠানে খাটানো যাবে না। বিদ্যালয়ের বেতন ও পরীক্ষার ফি সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকটি ক্লাসের জন্য একজন শিক্ষক নিযুক্ত করতে হবে। শিক্ষক লিয়াকত ও জান্নাতুল আকরামকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখার কারণে প্রকাশ্যে জবাব দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

কলেজের গভর্নিং বোডির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, আরেকজন নিজেই পদত্যাগপত্র জমা দেন।’ অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান দেশের বাইরে থাকায় তার বিরুদ্ধে দেশে আশার পর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।

"