জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মন্দির প্রাঙ্গনে গিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন। এসময় তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহব্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আক্কেলপুর পৌর এলাকার দুটি মন্দির পরিদর্শন করে এবং তাদের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি ও সমস্যার বিষয়ে কথা বলেছেন সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট আর্মি ক্যাম্পে অবস্থানরত ৩৯ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্্ির রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোবায়ের সফিক , এসইউপি, পিএসসি, এডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন মো. আব্দুল মুমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম প্রমুখ। অপরদিকে সকাল থেকে আক্কেলপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার পরিচ্ছনতা অভিযান পরিচালনা করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। যানজট নিরসনের প্রচেষ্টাসহ ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহফুজ আহম্মেদ বলেন, আমরা আক্কেলপুরকে পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়েছি এবং ট্রাফিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন

করছি ও সবাইকে সচেতন করছি। আমাদের প্রত্যেকের চাওয়া আক্কেলপুর তথা পুরো দেশ যেন ভালো থাকে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোবায়ের সফিক জানান, চলমান পরিস্থিতিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। সমাজের

সকল ধর্মালম্বিদের সম্প্রীতি বজায় রেখে সুশৃঙ্খল হয়ে বসবাস করার আহব্বান করা হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের সঙ্গে থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা সহিংসতা রোধে কাজ করার পাশাপাশি আজকে পরিষ্কার পরিচ্ছনতা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আমি তাদের প্রত্যেককে সাধুবাদ জানাই। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু যারা আছে ও তাদের উপাসনালয় আছে সেখানে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের ওপর হামলা হয়নি। উপজেলা প্রাশসন সকলের পাশে রয়েছে।

"