সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ
রোপা আমন চাষে ৮ হাজার ৬০০ কৃষককে প্রণোদনা
বীজতলা করা হয়েছে ৪ হাজার ৪৮২ হেক্টর * কৃষি বিভাগ থেকে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে
সিরাজগঞ্জে এ বছর রোপা আমন চাষের জন্য ৮ হাজার ৬০০ কৃষককে বীজ ও সার প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা রোপা আমন ধান চারা জমিতে লাগানো শুরু করেছেন বলে জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, জেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। আর এজন্য এরই মধ্যে ৪ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে জমি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা।
তাড়াশ উপজেলার আহসান বাড়ি গ্রামের কৃষক হাতেম আলী বলেন, এ বছর প্রায় ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষের জন্য তৈরি করেছি। এরই মধ্যে জমি তৈরি করে চারা রোপণ শুরু করেছি।
উল্লাপাড়া উপজেলার রামকান্ত পুর গ্রামের চাষি হাদিউজ্জামান বলেন, এ বছর কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের বীজ ও সার প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের ধান চাষের জন্য নানা পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। গতবার রোপা আমন ধানের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকরা আবারও এই ধান চাষে আরো আগ্রহী হয়ে ওঠেছে বলে তিনি জানান।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমি জানান, উপজেলায় এবছর ১২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জমিতে চারা রোপন শুরা হয়েছে। কৃষি বিভাগের কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে ধানের ফলন ভালো হয়। গত ২-৩ দিন ধরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কৃষকদের জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে ফলে তাদের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখানে এ বছর ১৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে রোপাআমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে ধানের চারা লাগানো হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন শষ্যভান্ডার খ্যাত তাড়াশে এ বছরও ধানের বাম্পার ফলন হবে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, দেশে খাদ্যে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে জেলার কৃষকরা রোপা আমন চাষে নেমেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষিবিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবছর জেলায় রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে ৭৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। আর এজন্য এরই মধ্যে ৪ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে এবং ৮ হাজার ৬০০ কৃষককে বীজ ও সার প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে।
"