সিরাজগঞ্জ ও শাহজাদপুর প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জে বন্যা
ডুবেছে গোচারণ ভূমি, ৫০ হাজার পশু নিয়ে বিপাকে খামারিরা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় গোচারণ ভূমি বন্যায় পানিতে ডুবে গেছে। পশুর খাবার সংকটসহ কমে গেছে দুধের উৎপাদন। এতে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে আছেন খামার মালিকরা। জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার গবাদিপশু ইতিমধ্যে পানিবন্দি বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
খামারিরা জানান, চারণ ভূমি থেকে কোনো মতে গবাদি পশু তুলে আনা হয়েছে। যাদের বাড়িতে জায়গা নেই, তারা অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
খামারিদের সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুরের পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতবাড়ি, বড়ভিটা, ছোট ভিটা, বুড়ির ভিটা, কুটির ভিটাতে এবং কাউয়ার্ক এবং হান্ড্রী এলাকায় গো-চারণ ভূমিগুলো প্রতি বছরই বাথান (গবাদি পশু লালন-পালনের জন্য তৃণভূমি) নেওয়া হয়। এখানে ৬-৭ মাস পর্যন্ত গবাদিপশু বাথান এলাকায় অবস্থান করে। বন্যার পানি গো-চারণ ভূমি থেকে নেমে যাওয়ার পর আবাদকৃত ঘাস খাওয়ার উপযোগী হলেই গবাদিপশু বাথানে নেওয়া হয়।
শাহজাদপুরের টিয়ারবন্দ গ্রামের গো-খামারি সাইফুল জানান, ঘাসের জমি ডুবে যাওয়ায় খড় খাইয়ে গবাদি পশু বাঁচিয়ে রেখেছেন। বন্যার সুযোগে খৈল-ভূষিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে তারা বিপাকে পড়েছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিলাল হোসেন জানান, বর্তমান অবস্থায় খামারীদের গবাদি পশুকে সাইলেস খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে দুধের উৎপাদন ঠিক থাকবে। দানাদার খাবারের খরচও কম হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার গবাদিপশু ইতিমধ্যে পানিবন্দি। এসময় গবাদিপশুর বিভিন্ন রোগব্যাধি সৃষ্টি হয়। এজন্য আমরা পাঁচটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। আর গবাদি পশুর খাদ্য সরবরাহের জন্য বিভাগে কোনো বরাদ্দ নেই।’
"