জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাট
অধিকাংশ কৃষক পাননি ভর্তুকির হারভেস্টার
কম সময়ে অল্প খরচে জমি থেকে ধান ঘরে তুলতে জয়পুরহাটে অর্ধেক দামে ধান কাটার কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কৃষি বিভাগ হস্তান্তর করেন কৃষকদের। অথচ ৯৫ ভাগ কৃষক ওই মেশিনের সুফল পাচ্ছেন না। এতে বাধ্য হয়ে শ্রমিক দিয়ে তিন গুন টাকা বেশি দিয়ে ঘরে তুলছেন ধান। সরকারের দেওয়া সুবিধা ভোগ না করতে পেরে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকের।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষকের জন্য জেলা কৃষি বিভাগ ভর্তুকি দিয়ে অর্ধেক দামে জেলার পাঁচ উপজেলাতে ৫০টি ধান কাটার কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়। তবে ওইসব মেশিনের পাঁচটি মেশিনও নেই জেলাতে। প্রয়োজনের সময়ে হারভেস্টার না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি খরচে শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা।
জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার ইকুরতারা গ্রামের মেহেদী হাসান জানান, কষ্ট করে ধান ফলানোর পর কাটার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। তারপর যাদের পাই তারা প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে ৫-৬ হাজার টাকা মজুরী নেন। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে রাতারাতি সেই মজুরী ৮-৯ হাজারে ওঠে। হারভেস্টার মেশিন পাওয়া গেলে এমন হতো না ।
কালাই উপজেলার মুসলিমগঞ্জ বাজারের হাসান জানান, শ্রমিকসংকট দূর করতে হারভেস্টার যন্ত্র আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। কিন্তু সামান্য পানি থাকলে হারভেস্টার যন্ত্র ধান কাটতে পারে না। তাই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক বিঘা জমির উৎপাদনের সঙ্গে ধান কাটা ও শ্রমিকসহ কৃষকদের খরচ পড়ছে প্রায় ১৫-১৬ হাজার টাকা। আর বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪ হাজার টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কিছু অন্য উপজেলায় গেছে কাজের জন্য। কৃষকের সুবিদার্থে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
"