বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ২১ নভেম্বর, ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফল

মিধিলির আঘাতে ৪ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষতিগ্রস্ত

পটুয়াখালী বাউফলে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকা আমন ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন এই ভেবে এখন দিশাহারা কৃষকরা। এ ছাড়া রোপণ শীতকালীন সবজি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের অনেকেই বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আবাদ করেছেন ফসল। তাই লোন পরিশোধ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৩৪ হাজার ৭০১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ৪ হাজার ১৩৪ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, লাল শাক, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে ৩৪০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ৩২০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়াও, খেসারি ডাল চাষ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৬০ হেক্টর জমির খেসারি ডাল। মরিচ চাষ হয়েছে ১২ হেক্টর জমিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ হেক্টর জমির মরিচ। সরিষা চাষ হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হেক্টর জমির সরিষা। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হবে। এর ফলে উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে বৃষ্টি ও বাতাসে আমন ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এখন আমন ধান কেটে ঘরে তোলার সময়। কিন্তু বৃষ্টিতে ধান কাটার সর্বনাশ করে দিয়েছে। শুধু আমন ধান নয়, রবিশস্যও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। শীতকালীন সবজির চারা এখন নষ্ট হয়ে যাবে।

নাজিরপুর ইউনিয়নের কৃষক জাহিদুল ইসলাম কামাল বলেন, আমার ৮০ শতাংশ জমিতে আমন ধান দিয়েছি। দুই দিনের বৃষ্টির পানিতে ও বাতাসে ধান মাটিতে শুয়ে গেছে।

বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ কুন্ড বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কৃষকের আমন ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close