কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের কাউখালী
হলে বোনকে উত্তর বলে না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর
থানায় লিখিত অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষকের

পিরোজপুরের কাউখালীর-৫ নম্বর বেতকা গোয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হানিফকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর ভাইদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক এ বিষয়ে থানায় একটি লিখত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বেতকা
গেয়ালতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালীন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সাইমুন জাহান ফারিয়া হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আবু হানিফের কাছে ইংরেজি বিষয়ের একটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তিনি না বলে তাকে লেখার জন্য বলেন। এর পরও
ওই ছাত্রী তাকে একাধিকবার বিরক্ত করলে তিনি শেষে তাকে ধমক দিয়ে চুপচাপ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বলেন। পরে পরীক্ষা শেষে
ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি বাড়িয়ে তার পরিবারকে বলে। শিক্ষক আবু হানিফ পরীক্ষা শেষে স্কুল-সংলগ্ন বাজারের মসজিদে নামাজ পড়ে বের হলে ওই ছাত্রীর ভাই সজীব খান (২০), চাচাতো ভাই
মহাসিন মন্টু (২৫) ও ইয়াছিন খান (১৯) তাকে বাজারের একটি চায়ের দোকানে নিয়ে কিল-ঘুষি ও চর থাপ্পড় মারতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে তাকে উদ্ধার করেন। তখন ওই বখাটেরা শিক্ষককে পারে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা খাতুন বলেন, এখানে শিক্ষকের দোষ ছিল না। শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
ওই ছাত্রীর ভাই সজীব খান বলেন, ওই শিক্ষক ইংরেজি
পরীক্ষার দিন তার বোনকে পরীক্ষার হলে বসে বকাঝকা ও চড়থাপ্পড় মারেন। এসব ঘটনায় পরীক্ষার পর বাড়িতে গিয়ে কেঁদে
ফেলে ফারিয়া। পরে আবেগের বশে বিদ্যালয়ের কাছের বাজারে বসে এ বিষয় নিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কাউখালী থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া বলেন, শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"